অপেক্ষা: শুধু দোল না, রং রাখা হচ্ছে ভোটের ফলের জন্যও। নিজস্ব চিত্র
রাজনৈতিক ময়দানে বিরোধী হলেও সবুজ-গেরুয়ার সহাবস্থান রঙের বাজারে। এই দুই রংই ভরসা যোগাচ্ছে দোলের রং ব্যবসায়ীদের। দোল ফুরোলেও লোকসভা নির্বাচন রঙের বাজারকে সবুজ, গেরুয়া শিবির চাঙা রাখবে বলে তাঁরা আশাবাদী। তাই ৩০ কেজির সবুজ এবং গেরুয়া আবিরের বস্তা কেউ ৪০০ ব্যাগ, কেউ ৫০০ ব্যাগ মজুত করেছেন। সেখানে লাল আবিরের চাহিদা কম বলেই ব্যবসায়ীদের দাবি।
রায়গঞ্জের বিবেকানন্দ মোড় এলাকার রঙ ব্যবসায়ী সহদেব সাহা ১০ কেজি ওজনের আবিরের প্যাকেট মজুত করেছেন গুদামে। তিনি জানান, শুধু দোলের জন্য নয়, সামনে নির্বাচন। তাই ভোটের বাজারেও রঙের কাটতি হবে দারুন। সে জন্য সবুজ এবং গেরুয়া এই দুই রঙের আবির প্রতিটি ৪০০ বস্তা করে মজুত রেখেছেন। একই ভাবে ওই মোড়ের অন্য রং ব্যবসায়ী তপন সরকার সবুজ এবং গেরুয়া আবির প্রচুর মজুত করেছেন। ৩০ কেজির বস্তায় ওই দুই আবির তিনি ৩০০ বস্তা করে মজুত করেছেন। প্রয়োজনে আরও যাতে মেলে সে জন্যও ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
রায়গঞ্জের রঙের বাজারের উপর নির্ভরশীল জেলার বিভিন্ন এলাকার রং ব্যবসায়ীরা। তপনবাবু বলেন, ‘‘করণদিঘি ইটাহার, বারসই মুকুরিয়া, সালমারি, জেলার সীমানা লাগোয়া বিহার, হরিরামপুর, কুশমণ্ডির রঙ ব্যবসায়ীরা রায়গঞ্জের পাইকারি বাজার থেকে রং কিনে নিয়ে যান। দু’দিন আগে করণদিঘির এক ব্যবসায়ী প্রায় পাঁচ হাজার টাকার রং নিয়ে গিয়েছেন সহদেববাবুর দোকান থেকে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রায়গঞ্জের মোহনবাটী বাজারের রং ব্যবসায়ী শিবু দাস, বান্টি দাসরা জানান, সবুজ এবং গেরুয়া আবিরের বিক্রিই সব চেয়ে বেশি। অনেকেই বস্তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের ফল বার হলে সবুজ বা গেরুয়া আবিরের চাহিদা হবে বলে তাঁরা ওই রঙের আবির বেশ করে মজুত করেছেন। লাল আবিরও কিনছেন অনেকে। তবে পরিমাণে কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy