দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার ক্লান্তি দু’বছরের তুষার চিতার শরীরী ভাষায় স্পষ্ট। দিনভর জল ছাড়া কিছু মুখেও তোলেনি। এনক্লোজারের কাছাকাছি কাউকে দেখতে পেলেই বেশ কয়েক বার গর্জন করে ওঠায় কর্মীরা বুঝেছেন, ওর মেজাজটাও ঠিক নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছে নতুন অতিথি নামখা।
ফ্রান্সের মুলহাউস চিড়িয়াখানাতে জন্ম নামখার। নামকরণও সেখানেই। তুষারচিতা সংরক্ষণের জন্য ফ্রান্স মুলুক থেকে নামখাকে নিয়ে আসা হয়েছে দার্জিলিঙে। এখানকার চিড়িয়াখানায় তুষারচিতা প্রজনন কেন্দ্রও রয়েছে। যদিও তাতে স্ত্রী-পুরুষের বড্ড বৈষম্য। ৯টি স্ত্রী তুষারচিতা রয়েছে এখানে। কিন্তু পুরুষের সংখ্যা ছিল মাত্র ১। তাতে প্রজননের সমস্যা তৈরি হয়। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুরুষ তুষারচিতার সংখ্যা বাড়ানো হবে।
মাসদুয়েক আগে ইংল্যান্ডের চিড়িয়াখানা থেকে ‘মাকালু’ নামে একটি তুষারচিতাকে নিয়ে আসা হয়েছে। নামকা আসায় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন।
এ দিন দুপুর দু’টো নাগাদ দার্জিলিঙে পৌঁছেছে নামখা। পৃথক এনক্লোজারে রাখা হয়েছে তাকে। প্রথমদিনের মেনুতে ছিল মুরগির মাংস। প্রায় আড়াই কেজি মাংস দেওয়া হয়েছিল তাকে।
কিন্তু সেই মাংস খাওয়া তো দূরের কথা, কাছে গিয়ে শুঁকেও দেখেনি নবাগত অতিথি। দিনভর শুয়েই ছিল সে। এমনটাই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল ৯টায় দমদম বিমানবন্দরে নামার পর বাতানুকূল গাড়িতে করে দার্জিলিঙের উদ্দেশ্যে রওনা করানো হয়েছিল নামখাকে।
সেই গাড়িতেও জল-মাংস দেওয়া হয়েছিল তার খাওয়ার জন্য। তাও বিশেষ খায়নি ফ্রান্স থেকে আসা বুনোটি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই নামখা আপাতত একাই থাকতে চাইছে।
চিড়িয়াখানার অধিকর্তা পিয়ার চন্দ বলেন, ‘‘এক দেশ থেকে অন্য দেশে আসলে আবহাওয়া জনিত সমস্যা তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্লান্তি। নতুন জায়গার সঙ্গে মানিয়ে নিতে তার বেশ কিছুটা সময় লাগবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy