রাশি রাশি মরা মাছ ভেসে উঠল তিস্তায়। মঙ্গলবার ভোরে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া সারদাপল্লি এলাকায়। নদীর জলে বোরোলি, বোয়াল, চিংড়ি ভাসতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কী হয়েছে বোঝার আগেই কয়েক জন অচেনা লোক ব্যাগে ভরে মরা মাছ নিয়ে তিস্তার চর ধরে পালিয়ে যায়।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তিস্তায় বহু প্রজাতির মাছ থাকে। এ ভাবে মাছ ধরা রুখতে আমরা কড়া আইন করেছি। যে বা যারাই করে থাকুক, কড়া পদক্ষেপ হচ্ছে।” জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তা নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে মাছের মড়ক দেখা দেয়। মৎস্য দফতরের প্রাথমিক তদন্ত এবং বাসিন্দাদের দাবির সূত্র ধরেই অনুমান, গভীর রাতে কে বা কারা মাছ ধরতে তিস্তার জলে কড়া বিষ ঢেলে দেয়। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে নদীর জলে দুই কিলোমিটার জুড়ে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। বিষের প্রভাবে তিস্তায় হারিয়ে যেতে বসা বোরোলি-সহ আড়, রিঠা এবং প্রচুর ছোট মাছের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালে জলপাইগুড়ির করলা নদীতে বিষক্রিয়ায় গোটা নদী জুড়েই মাছের মড়ক দেখা দিয়েছিল। এ দিন তিস্তার তীরে পরিদর্শন করে মৎস্য দফতরের প্রতিনিধি দল।
তিস্তার চর জুড়ে নানা ফসলের চাষ হয়। সেখানেও কড়া কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এ দিন তিস্তার জলে বিষের প্রভাব কাটাতে গজলডোবা ব্যারাজ থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)