Advertisement
০২ মে ২০২৪

অনির্বাণই দোষী, বলছেন লিপিকা

পুলিশ সূত্রে খবর, কাপড় ছিঁড়ে দড়ি বানিয়ে কী ভাবে খাটের সঙ্গে উত্তমবাবুকে বেঁধে রাখা হতো, তা পুলিশকে দেখান লিপিকা৷ তবে তল্লাশি চালিয়েও এদিন ওই বাড়ি থেকে বিষ বা বিষের পাত্র উদ্ধার হয়নি৷

হেফাজত: লিপিকা মোহান্ত। ফাইল চিত্র।

হেফাজত: লিপিকা মোহান্ত। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৮
Share: Save:

মৃত্যুর আগে ঠিক কী ভাবে উত্তম মোহান্তের ওপর অত্যাচার চালান হতো, লিপিকাকে দিয়ে সেই ঘটনার পুনর্গঠন করাল পুলিশ৷ রবিবার জলপাইগুড়ি কদমতলা বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় তাঁদের বাড়িতে লিপিকাকে নিয়ে যান তদন্তকারীরা৷ গত ২৯ জুলাই কদমতলা ওই বাড়িতেই মৃত্যু হয় এলআইসি-র ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তমবাবুর৷ তাঁর দাদারা অভিযোগ করেন, উত্তমবাবুর স্ত্রী লিপিকা ও লিপিকার প্রেমিক অনির্বাণই তাঁর ভাইকে খুন করেছে৷ অনির্বাণ পালিয়ে গেলেও গ্রেফতার করা হয় লিপিকাকে৷ আদালত তাকে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়৷ যে মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ দিন৷

পুলিশ সূত্রে খবর, কাপড় ছিঁড়ে দড়ি বানিয়ে কী ভাবে খাটের সঙ্গে উত্তমবাবুকে বেঁধে রাখা হতো, তা পুলিশকে দেখান লিপিকা৷ তবে তল্লাশি চালিয়েও এদিন ওই বাড়ি থেকে বিষ বা বিষের পাত্র উদ্ধার হয়নি৷

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়বার পালিয়েও ফিরে আসার পর অনির্বাণের সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই বলে স্বামীকে বুঝিয়েছিলেন লিপিকা৷ কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই আবার তাঁদের বাড়িতে অনির্বাণের যাতায়াত শুরু হয়৷ যা সহ্য করতে পারতেন না উত্তমবাবু৷ আর সে জন্যই তাঁকে একটি ঘরের খাটে বেঁধে রাখা হত।

এ দিন থানায় বসে লিপিকা অভিযোগ করেন, ‘‘অনির্বাণ এই ঘটনায় জড়িত৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিষের বিষয়টি আমি জানতামই না৷ ওটা শোনার পর আমি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছি৷’’ তাঁর আরও অভিযোগ, যে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিয়ের এত বছর পরেও তাঁর কোনও খোঁজ নেয়নি, তাঁরাই তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাসিয়েছে৷ লিপিকা এদিন বলেন, ‘‘যে কাজ আমি করিইনি তার জন্য শাস্তি পাব কেন? আমি চাই মুক্তি পেয়ে বাড়ি যেতে৷’’

এদিকে, পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ, সোমবার লিপিকাকে ফের আদালতে তোলা হবে৷ তবে তাকে ফের হেফাজতে চেয়ে পুলিশের থেকে আদালতে কোন আবেদন যাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ পুলিশের এক কর্তা বলেন, লিপিকার সঙ্গে অনির্বাণকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক বিষয়ই স্পষ্ট হতো৷ কিন্তু অনির্বাণকে তো এখনও ধরাই গেলনা৷ তবে তার খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে বলে জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE