Advertisement
E-Paper

শংসাপত্রে হয়রানি রুখতে এসএমএস

জাতিগত শংসাপত্র পেতে আবেদনকারীদের হয়রানি বন্ধ করতে মালদহ সদর মহকুমা প্রশাসন চালু করছে ‘এসএমএস মনিটরিং সিস্টেম’।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জাতিগত শংসাপত্র পেতে আবেদনকারীদের হয়রানি বন্ধ করতে মালদহ সদর মহকুমা প্রশাসন চালু করছে ‘এসএমএস মনিটরিং সিস্টেম’। জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে শংসাপত্র মহকুমাশাসক স্বাক্ষর করলেই আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। পাশাপাশি, সদর মহকুমা প্রশাসন জাতিগত শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটও চালু করছে। সেখানে গিয়ে আবেদনকারী সরাসরি দেখতে পাবেন তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে শংসাপত্র প্রশাসনিক স্তরে কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, পরবর্তীতে চাঁচল মহাকুমাতেও এই একই পদ্ধতি চালু করা হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অন্য অনগ্রসর শ্রেণির জাতিগত শংসাপত্র ইস্যু করা হয় মহকুমা শাসকের দফতর থেকে। শংসাপত্র পেতে এখন অনলাইনে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদনপত্র যাচাই করে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের দফতর। শেষে খোদ মহকমাশাসক সেই শংসাপত্রে স্বাক্ষর করেন। জানা গিয়েছে, আবেদন করার ২৮ দিনের মধ্যে জাতিগত শংসাপত্র আবেদনকারীকে দেওয়ার কথা। অভিযোগ, আবেদন করার পরে সেই শংসাপত্র পেতে হয়রানির অভিযোগ ওঠে। মহকুমা প্রশাসনের দরবারে বার বার গিয়েও শংসাপত্রটি কি অবস্থায় আছে, তা জানতে পারেন না আবেদনকারীরা। এ দিকে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ ওঠে মহাকুমা প্রশাসনের একাংশ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

মালদহ সদর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, শংসাপত্র পেতে আবেদনকারীদের হয়রানি রুখতেই এসএমএস মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কোনও শংসাপত্র মহকুমাশাসক স্বাক্ষর করলেই আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস পৌঁছে যাবে। তার পরেই সেই আবেদনকারী মহকুমাশাসকের দফতর থেকে শংসাপত্র নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি, একটি ওয়েবসাইটও চালু করা হচ্ছে। sdosadarmalda.in— এই ওয়েবসাইটে লগইন করলে আবেদনকারী তার শংসাপত্র প্রশাসনিক স্তরে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা-ও জানতে পারবেন।

সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, ‘‘জাতিগত শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করেন আবেদনকারীরা। শংসাপত্রের জন্য তাদের বার বার দফতরে এসে ঘুরে যেতে হয় বলে জানান তাঁরা। তাই এ বার এসএমএস মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হল। এখন থেকে শংসাপত্র স্বাক্ষর হলেই আবেদনকারীদের কাছে এসএমএস পৌঁছে যাবে। সরকারি দফতরে এসে বার বার দরবারের প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি ওয়েবসাইটেও জানা যাবে।’’ এ দিকে, জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সদর মহকুমার পাশাপাশি জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে এই পদ্ধতি জেলার চাঁচল মহকুমাতেও কার্যকর করা হবে।’’

Caste Certificate Malda Malda Administration SMS Monitoring System
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy