বাড়ির পাশে একটি গর্তে পাওয়া যায় দেহের হদিশ। নিজস্ব চিত্র
মালদহের কালিয়াচক-কাণ্ডের ছায়া এ বার চাঁচলে। স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির পাশে গর্ত করে পুঁতে রেখেছিল স্বামী। নির্বিকার চিত্তে কাটিয়েও দিয়েছিল সপ্তাহখানেক। এমনকি সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার অভিযুক্তের বাড়ির আশপাশ থেকে পচা গন্ধ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পর তাঁরা অভিযুক্তকে চেপে ধরেন। তখনই জানা যায় খুনের কথা। পুলিশ মৃতদেহের হদিশ পেয়েছে।
চাঁচলের স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর স্ত্রী কালো বিবিকে (৩২) খুন করে বাড়ির পাশে পুঁতে দিয়েছিলেন। সাত দিন ধরে আশপাশের বাসিন্দারা কেউই কালো বিবিকে দেখতে পাননি। প্রতিবেশীরা সন্দেহ করতে পারে, এই আশঙ্কায় পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরিও করে মহম্মদ। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে সব ফাঁস হয়ে যায়। মহম্মদের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ওর বাড়ির আশপাশ থেকে প্রচণ্ড গন্ধ আসছিল। তার পর ওকে চেপে ধরতেই সব জানা যায়। স্ত্রীর সঙ্গে ওর বনিবনা ছিল না। তাই খুন করেছে মহম্মদ।’’
মহম্মদের কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুনের পরেও সপ্তাহ খানেক নির্বিকার চিত্ত ছিল সে। তার মধ্যে অনুশোচনার ছাপ দেখা যায়নি বলেই দাবি তাঁদের। কালো বিবির দেহ বাড়ির পাশে গর্ত করে পুঁতে ফেলেছিল মহম্মদ। তার পর ওই বাড়িতেই সে কাটিয়ে দেয় সপ্তাহখানেক। নিজে রান্নাও করে। পুলিশ দেহের সন্ধান পেয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদকেও। পুলিশের দাবি, মহম্মদর তার চার সঙ্গীকে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে। হত্যার পিছনে পারিবারিক বিবাদ না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy