Advertisement
E-Paper

‘সারাক্ষণ শুধু ভাগ করে দাও’, সরব মুখ্যমন্ত্রী

দীর্ঘদিন থেকেই আলাদা কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে সরব কেএলও (কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজ়েশন)।

পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রাজ্য ভাগের ভাবনার বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাসিমারায় সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদানের কর্মসূচি উপলক্ষে নিজের বক্তব্যের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন প্রসঙ্গটি তোলেন। যদিও মুখে কারও নাম নেননি তিনি। বলেন, “সবাই এক থাকুন। অনেকে অনেক রকম কথা বলবেন। কিছু কিছু নেতা আছেন, এখান থেকে ওখান থেকে কিছু কিছু পায়। তাঁরা কখনও বলবেন, এটাকে আলাদা করে দাও, ওটাকে আলাদা করে দাও।” এর পরেই তাঁদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “কেন তুমি প্রধানমন্ত্রী হবে? না কি মুখ্যমন্ত্রী হবে? না তুমি বিড়ি মন্ত্রী হবে? আমার বিড়ি শ্রমিকেরা বিড়ি মন্ত্রী হওয়ার জন্য রয়েছেন। তোমার দরকার নেই। সারাক্ষণ শুধু ভাগ করে দাও!”

দীর্ঘদিন থেকেই আলাদা কোচ-কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে সরব কেএলও (কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজ়েশন)। গ্রেটার কোচবিহার নেতা অনন্ত রায়ও (মহারাজ) কোচবিহার রাজ্যের ভারতভুক্তি চুক্তি অনুযায়ী একাধিক বার আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার মুখেও আলাদা রাজ্যের দাবির কথা শোনা যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন প্রশ্ন তোলেন, “পশ্চিমবঙ্গ আর উত্তরবঙ্গ যদি এক না থাকে, তা হলে খাবারটা কোথা থেকে আসবে?” এর পরেই তিনি বলেন, “যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের সংসার একটাই— টাকা। কিন্তু টাকা জীবনের সব নয়। যাঁরা বেশি লোভ করেন, তাঁদের মানুষ বেশিদিন ক্ষমা করেন না।”

তবে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্ৰী কী বলেছেন, কাদের বলেছেন, আমি জানি না। তিনি যাঁদের বলেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এ সব কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমরা আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি। আর আমাদের সংগঠনের তরফে কোনও রকম চাঁদা বা পয়সা তোলা হয় না।’’ এ দিকে জন বার্লার পাল্টা বক্তব্য, “টাকার জন্যই ভাইপো উত্তরবঙ্গের নদীগুলি থেকে বালি নিয়ে যাচ্ছেন। আর এখানকার স্থানীয় লোকেরা কাজ হারাচ্ছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এ কথা শোভা পায় না।”

বস্তুত, স্থানীয় একাধিক দাবি সম্পর্কে রাজ্য সরকারের ভূমিকাও এ দিন স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আমরা দু’শোটি রাজবংশী স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছি। অলচিকি ভাষা পড়াচ্ছি। হিন্দি ভাষা, নেপালি, গোর্খাদের ভাষাও প্রতিষ্ঠিত। সাঁওতাল, রাজবংশী, কামতাপুরি অ্যাকাডেমিও রয়েছে এখানে। রয়েছে উদ্বাস্তু সেলও।”

Mamata Banerjee TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy