সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে চা বাগানের জন্যে একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধন হয়েছে ক্রেশেরও। যদিও ডুয়ার্স-তরাইয়ের অনেক ক্রেশ উদ্বোধনের পরেও যথাযথ ভাবে চলছে না বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালনা নিয়েও প্রশাসনের কাছে নানা তথ্য এসেছে। সে সব নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি। সেই আবহেই বুধবার শিলিগুড়িতে রাজ্য সরকারের গঠিত টি অ্যাডভাইজ়ারি কাউন্সিলের বৈঠক হয়। বৈঠকে চা বাগানে ক্রেশ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা যথাযথ করত দ্রুত নির্দেশ দেওয়া হয়। চা বাগানগুলির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও তথ্য সংগ্রহ হয় বলে দাবি। তবে এ দিন কাউন্সিলের বৈঠকে অনেকে সদস্যই অনুপস্থিত ছিলেন।
বুধবার শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসের এই বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক সশরীরে হাজির ছিলেন না। তিনিই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। শ্রমমন্ত্রী বৈঠকে অনলাইনে ছিলেন। সূত্রের খবর, মন্ত্রী কিছু নির্দেশ দিয়ে এবং রূপরেখা জানিয়ে দেন বৈঠকে। বৈঠকের বেশি সময়টাই চা বাগানের ক্রেশগুলি যথাযথ ভাবে সচল করা, পরিচালনা করা এবং চা বাগানে স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে চা বাগানে নতুন বাস দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগানেন শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়ার জন্য ১০টি বাস দিয়েছে শ্রম দফতর। আগামী দিনে পাহাড়েও সেই ভাবনা রয়েছে বলে জিটিএর এক প্রতিনিধি এ দিনের বৈঠকের পরে দাবি করেছেন।
এ দিনের বৈঠকে রাজ্যসভার সাংসদ তথা কাউন্সিলের সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এবং আরও একাধিক সদস্য ছিলেন না। বৈঠকে তাঁদের অনুপস্থিতি ঘিরেও প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজে নেতাদের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে কারণে কাউন্সিলের বৈঠকে অনেকে উপস্থিত হতে পারেননি বলে দাবি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)