শিলিগুড়িতে ধরা পড়লেন হাওড়ার শুভজিৎ। — নিজস্ব চিত্র।
নবান্নে কর্মরত দাবি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। টাকা হাতাতে নবান্নের ভুয়ো পরিচয়পত্রও দেখাতেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে নিজেই ফাঁদে পা দিলেন। শিলিগুড়িতে ধরা পড়লেন হাওড়ার বাসিন্দা।
অভিযুক্তের নাম শুভজিৎ নন্দী। হাওড়ার ১৯৩ আব্দুল রোডের বনন্ত আবাসনের বাসিন্দা তিনি। বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে, ঋণের দরকার পড়লে বা চাকরির খোঁজে স্থানীয়রা শুভজিতের দ্বারস্থ হতেন। তিনি কখনও নবান্ন, কখনও ব্যাঙ্কের কর্মী বলে নিজের পরিচয় দিতেন। তার পর বহু মানুষকে ঠকিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। এ ভাবে বহু বছর ধরে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করেছেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যটন সংস্থায় ভুয়ো ‘সিভি’ দিয়ে চাকরি করছিলেন। তার পর সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। নতুন এক পর্যটন সংস্থায় যোগ দিতেই বাধল গোল। ট্রাভেল এজেন্সির মালিক গৌরব সাহার কথায়, ‘‘শুভজিতের মোবাইলে কোম্পানির হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করার সময় তাঁর মেলের সঙ্গে সিনক্রোনাইজ হয়। তখনই পুরনো মেসেজগুলি প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, বিভিন্ন নম্বর থেকে টাকা চাইছে লোকজন।’’
গৌরব জানিয়েছেন, শুভজিৎকে প্রথমে কিছু বুঝতে না দিয়ে তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই বেরিয়ে আসে সত্যিটা। আগের সংস্থার ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি চাকরি থেকে ব্যাঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও তিনি লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেন।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে শুভজিতের উপর চড়াও হন আদায়কারীরা। পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায় শুভজিৎকে। শুভজিতের কাছ থেকে একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, নবান্নের পরিচয়পত্র-সহ দুটো ডায়েরিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy