জ্বরে ভুগে মৃত্যু হল এক যুবকের। ডেঙ্গিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। এ নিয়ে আলিপুরদুয়ারে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। গত এক সপ্তাহে জয়গাঁ ও মাদারিহাট এলাকায় প্রায় সত্তর জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাঙালিবাজনা এলাকায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। সপ্তাহ দেড়েক আগে নিমতি চা বাগানের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয় স্ক্রাব টাইফাসে। এ বার জ্বরে মৃত্যু হল ওই যুবকের।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা জানান, গত রবিবার গেরগেন্ডা চা বাগানে মোমসাদ আনসারি (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জ্বর হওয়ায় স্থানীয় চা বাগানের কম্পাউন্ডার তাঁর চিকিৎসা করে। পরিবারের তরফে স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, মোমসাদ আনসারির জ্বর হয়েছিল। বাড়িতেই ওই যুবক মারা যাওয়ায় তাঁর ডেঙ্গি হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী জানান, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সত্তর জন। তবে সংখ্যাটা ধীরে ধীরে কমছে। এ নিয়ে জেলায় প্রায় সাড়ে আটশো জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃত মোমসাদ আনসারির আত্মীয় ইরফান আনসারি জানান, গেরগেন্ডা চা বাগান বন্ধ। মোমসাদ রাজমিস্ত্রির যোগানের কাজ করত। দিন সাতেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসত। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকেরা বন্ধ চা বাগানের কম্পাউন্ডারকে দিয়ে মোমসাদের চিকিৎসা করায় বাড়িতে। রবিবার মোমসাদ মারা যান। জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, ‘‘নতুন করে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত কারও সন্ধান মেলেনি। জেলা হাসপাতালেও কোনও ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy