বৌদির বাড়ি গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দেওরের! ঘটনাস্থল সেই মালদহ। তবে এ বার রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক কিংবা সম্পর্কের টানাপড়েনে গুলি চলল। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রঙ্গাইপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন। ৩০ বছরের ওই যুবক তাঁর এক বৌদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। প্রায়শই ওই বৌদির বাড়িতে যেতেন তিনি। মঙ্গলবারও গিয়েছিলেন। তার মধ্যেই এই ‘দুর্ঘটনা।’ যদিও সাদ্দামকে কেউ গুলি করেছেন না কি তিনি নিজেকে গুলি করেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই ‘বৌদি’র এক দিদির দাবি, সাদ্দাম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ‘প্রেমিকা’কে। তিনি রাজি না হওয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র বার করে নিজেকে গুলি করেন যুবক।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সাদ্দামও বিবাহিত। তবে প্রতিবেশী বৌদির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল যুবকের। মঙ্গলবার ওই বৌদির বাড়িতে থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হন যুবক। তাঁর মাথার ডান দিকে গুলি লাগে। যুবককে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তারা।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ওই ‘বৌদি’কে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, তিনি বা অন্য কেউ এই খুন করেননি। আটক হওয়া মহিলার দিদির দাবি,‘‘সাদ্দাম আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছিল। আমার বোন সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নিজের মাথায় গুলি করে সে আত্মহত্যা করে।’’
সম্পর্কের জটিলতায় কি এই আত্মহত্যা? না কি খুন করা হয়েছে সাদ্দামকে? না কি নেপথ্যে অন্য কোন কারণ রয়েছে? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল এলাকায়।