প্রতীকী ছবি।
সালিশি সভায় এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে ‘বিয়ে’ দেওয়া হল এক বিবাহিত মহিলার৷
দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে দাবি। দু’জনেরই ভরা সংসার। সে কথা কবুল করার পরেই সালিশি সভার নিদানে বেআইনি ভাবে তাঁদের ‘বিয়ে’র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেম হতে পারে। কিন্তু তাঁরা বিয়ে করতে চাইলে প্রাক্তন স্বামী ও স্ত্রীকে ডিভোর্স করতে হবে। তা ছাড়া, সালিশিও বেআইনি।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শিকারপুরে এই সালিশি সভার নিদান নিয়ে অভিযোগের আঙুল স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে৷ শিকারপুরের তৃণমূল প্রধান কল্যাণ হোড়৷ তিনি বলেন, ‘‘এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ দু’জন বিবাহিত পুরুষ মহিলা বিয়ে করতে পারেন না৷ খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব৷’’ রাজগঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্তাও বলেন, ‘‘এটা বেআইনি৷ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’
শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসুয়াপাড়া এলাকায় বাড়ি পুরুষটির৷ ইতিমধ্যেই যাঁর মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে৷ তাঁর বাড়ির কাছেই বাড়ি ওই মহিলার। তাঁরও স্বামী ও এক ছেলে রয়েছে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’জনের সম্পর্কের কথা এলাকার প্রায় সবাই জানতেন৷ জানতেন দুই পরিবারের সদস্যরাও৷ বুধবার রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁরা এক সঙ্গে ধরা পড়ে যান। মহিলার স্বামীর চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন৷ খানিকটা উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে৷ স্থানীয় বাসিন্দারাই কোনও রকমে দুই পক্ষকে শান্ত করে নিজের নিজের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন৷
সকালে আবার আলোচনা শুরু হয়। দুপুরে বসে সালিশি সভা৷ সেই সভার সিদ্ধান্ত মতোই পুরুষটি মহিলাকে সিঁদুরও পরিয়ে দেন৷ মহিলার স্বামী সালিশি সভার ‘নিদান’ মেনে নেন। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রী এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy