ফাইল চিত্র।
টানা বৃষ্টি চলছে পাহাড় এবং সমতলে। তার জেরে ধস নেমে বিপর্যস্ত হল যান চলাচল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কার্শিয়াঙের হুইসেল খোলা এলাকায় ধস নামে। বড় পাথর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল থমকে যায়। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা বন্ধ থাকার পরে বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ধস সরিয়ে যান চলাচল ফের শুরু হয়।
বৃষ্টি চলছে সিকিমেও। মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি হয় গ্যাংটক, তাদঙ, জোরথান, পেলিঙে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি থেকে ইসলামপুর, মালদহেও সকাল থেকে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে। কখনও ইলশেগুঁড়ি তো কখনও মুষলধারে। আবার বৃষ্টির ফাঁকে রোদের ঝলক দেখা গিয়েছে শিলিগুড়িতে। জলপাইগুড়িতে দিনভর আকাশের মুখ ছিল ভার। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে তৈরি হওয়া ঘুর্ণাবর্তের জেরে পাহাড়-সমতলে আপাতত বৃষ্টি চলবে।
টানা বৃষ্টির জেরে পাথর আলগা হয়ে কার্শিয়াঙের রাস্তায় ধস পড়়েছে বলে প্রশাসনের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্রথমে ভূমিকম্প হয়েছে ভেবে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বাসিন্দাদের দাবি, খুব জোরে শব্দ হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বড় পাথর পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। বুধবার সকাল থেকেও বৃষ্টি চলতে থাকায় ধস সরানোর কাজে সমস্যা হয়। রাস্তা বন্ধ থাকায় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের যোগাযোগ ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকে।
ছোট মাপের বেশ কিছু ধস নেমেছে সিকিমের পাহাড়েও। উত্তর সিকিমের কয়েকটি রাস্তা বুধবার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। লাচেং, লাচুনের সঙ্গে যোগাযোগ বিকেল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সিকিমের সর্বত্র বৃষ্টি চলছে। ধসও নেমেছে।’’
তবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে এ দিন তুলনামূলক কম বৃষ্টি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy