দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর পুরসভার মর্যাদা পেলেও ব্রাত্য ময়নাগুড়ি। তৃণমূল শিবির বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনপদকে পুরসভায় উন্নীত করার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করে বামফ্রন্টকে চাপে রাখে। এবার তৃণমূলকে চাপে রাখতে একই অভিযোগ সামনে রেখে আন্দোলনের পথে সিপিএম মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিকে, শহরাঞ্চলে নিজেদের পালে হাওয়া টানতে বিজেপি দলের নেতৃত্ব আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসকের কাছে বুনিয়াদপুরকে পুরসভায় উন্নিত করার বিষয়ে রাজ্যপালের সই করা নির্দেশনামা এসে পৌঁছয় এর পরেই ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডুয়ার্সের ওই প্রাচীন জনপদ পুরসভার মর্যাদা পাবে কি না দলীয় কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর তাঁদের কেউ দিতে পারছেন না। যদিও কয়েকদিন আগেও তাঁদের আশ্বাস ছিল চলতি বিধানসভা অধিবেশনে পুরসভা ঘোষণার জট কাটবে দলের ব্লক সভাপতি মনোজ রায় বলেন, “পুরসভার জন্য সমস্ত নথিপত্র প্রশাসনের তরফে পুরমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। এর বেশি কি বলব!” দলের বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, অল্পদিনের মধ্যে ময়নাগুড়িকে পুরসভা ঘোষণার চেষ্টা চলছে ময়নাগুড়ির বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব এবং ব্লক প্রশাসনের সাফাই শুনছে কে।
প্রশ্ন উঠেছে, একই কথা কত বছর শুনতে হবে? বুনিয়াদপুরকে পুরসভায় উন্নিত করার পরে সিপিএম নেতৃত্ব ‘অকর্মণ্যতার’ অভিযোগ তুলে তৃণমূল শিবিরকে বিঁধতে আসরে নেমেছেন। দলের ময়নাগুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল সরকার যে শুধুমাত্র আশ্বাসের উপরে টিকে আছে, এবারও ময়নাগুড়িকে পুরসভা ঘোষণা না করা তার প্রমাণ। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে আন্দোলন শুরু হবে।”
এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুরসভা ঘোষণা না হতে গত বছর ১১ জুন তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা ব্যান্ডপার্টি নিয়ে উসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। অথচ সাত মাস পরেও জেলা প্রশাসনের কাছে রাজ্যপালের সই করা নির্দেশনামা এল না। দলের মণ্ডল সভাপতি অনুপ পাল অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল নেতৃত্ব মানুষকে প্রতারিত করছেন। পুরসভার দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy