শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
বিতর্ক ঠেকাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল লিগ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার আশ্বাস দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। মঙ্গলবার তিনি প্রথমে ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং পরে লিগে যোগ দেওয়া ১০টি ক্লাবের সঙ্গে বৈঠক করেন। যে ক’দিন খেলা বন্ধ থাকবে, মাঠ পরিষ্কার হওয়ার পরে, সে খেলাগুলি রাতের দিকে করার প্রস্তাব দিয়েছেন মেয়র। এই প্রস্তাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ফুটবল লিগ ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে। কিন্তু ১০-দলীয় লিগে শীতের সময় দিনে এবং রাতে চারটি দলের খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মেয়র এ দিন বলেন, ‘‘আমরা ক্লাবগুলিকে বলেছি, রাজনীতিটা রাজনীতির জায়গায় করতে। রাজনীতির অঙ্গন আর খেলাধুলোর অঙ্গন আলাদা। ক্রীড়া সংগঠনগুলিরও এই সমস্ত রাজনীতি থেকেও দূরে থাকাটা বাঞ্ছনীয়। ৩৭টা ম্যাচের জন্য প্রায় ১৫ দিন নষ্ট হচ্ছে। কিছু ম্যাচ রাতের বেলা করিয়ে দেব। তার জন্য ফ্লাডলাইট জ্বালাতে যা লাগে, দেওয়া হবে। খেলোয়াড়দের একটা দিনও নষ্ট হবে না।’’ এর পাল্টা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্লাব, ক্রীড়া সংগঠন থেকে সংগঠকেরা ফোন করেছেন। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, বিক্ষোভটা কবে হবে। তাঁরা বিক্ষোভে উপস্থিত থাকবেন। তবে ক্লাবগুলির যাতে ক্ষতি না হয় সে দিকটাও দেখতে হবে। পুজোর সময় অনুদান দিয়েছে বলে সরকার ক্লাবগুলির মাথা কিনে নেয়নি।’’
এ দিকে, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২ ডিসেম্বরের সভার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মাটি খোঁড়া এবং খুঁটি পোঁতার কাজ চলছে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে মাঠ নেওয়া হয়েছে। ফলে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য লিগ বন্ধের মুখে। যদি ২৯ ডিসেম্বরেও আবার লিগ খেলা শুরু হয়, তা হলে ২৫ দিন বন্ধ থাকবে খেলা। ক্লাবগুলির দাবি, খেলোয়াড়দের অনেককেই খরচ করে আনা হচ্ছে। তাঁদের আবার বাড়ি পাঠানো এবং আবার নিয়ে আসা খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। ২৫ দিনের প্র্যাকটিস, থাকা-খাওয়ার খরচও অনেক। ২৯ ডিসেম্বরের পরে নতুন করে যদি সূচি তৈরি হয়, তখন কিছু খেলোয়াড়কে ওই দিনগুলিতে না-ও পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা। ক্রীড়া পরিষদের ফুটবল সচিব সৌরভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মেয়রের প্রস্তাব নিয়ে ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy