Advertisement
E-Paper

রোগীকে কিনে আনতে হচ্ছে ওষুধ

হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। ওই ওষুধ মজুত আছে বলেই জানি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে কেন তাঁদের বাইরে থেকে ওই ওষুধ বা স্যালাইনের নল কিনতে বলা হচ্ছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:৩৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

শিলিগুড়িতে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বৈঠক করেন।

এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নতুন করে একশো জনের মতো জ্বরের রোগী ভর্তি হয়েছেন। পুরুষ মেডিসিন বিভাগে বেলা ১২টা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। হাসপাতালের পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। পরে তিনি বলেন, ‘‘ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তদেরও প্লেটলেট কমছে বলে জানা গিয়েছে।’’ শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এসেছিল এটা দেখা তাদের বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘পুণের ভাইরোলজি বা কলকাতা ট্রপিক্যাল মেডিসিন থেকে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছি।’’ জ্বরে আক্রান্ত প্রচুর রোগী শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসায় যাতে ঘাটতি না হয় তার জন্য বাড়তি ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী দিতে রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে স্যালাইনের সঙ্গে দেওয়ার জন্য ‘প্যারাসিটামল ইনফিউশন’ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি এবং জ্বরের রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাইরে থেকে তা ৩০০ টাকায় কিনে আনতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জ্বরে আক্রান্ত কৃষ্ণ দাস, গোপাল দেবরা। অভিযোগ, অনেককে স্যালাইনের পাইপও বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। এমনকী প্লেটলেট কাউন্টও অনেককে বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে এমন অভিযোগও উঠছে।

হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। ওই ওষুধ মজুত আছে বলেই জানি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে কেন তাঁদের বাইরে থেকে ওই ওষুধ বা স্যালাইনের নল কিনতে বলা হচ্ছে।’’ প্লেটলেট কাউন্ট হাসপাতালেই হচ্ছে। বাইরে করার কথা নয়, জানান তিনি।

কিন্তু জ্বরে আক্রান্ত কৃষ্ণবাবু জানান, হাসপাতালের স্লিপে ওষুধ লিখে দিয়ে বাইরে থেকে আনতে বলা হচ্ছে। অন্য রোগীর পরিজনদের অনেকেও জানান, তাদেরও ওই ওষুধ বাইরে থেকে কিনে দিতে হয়েছে। গোপালবাবু জানান, এ দিন তিনি বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে জেনেছেন তাঁর প্লেটলেট ৮০ হাজারে নেমে গিয়েছে। গত ছ’দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ম্যাক এলাইজা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাননি। জিজ্ঞেস করলে চিকিৎসকরা জানান, আর দুই একদিন ভর্তি থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ডেঙ্গি কিছুটা কমছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে ভাইরাল জ্বরে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন।’’

শিলিগুড়ি Medicine patients Siliguri district hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy