Advertisement
০৬ মে ২০২৪

জঙ্গি সংগঠনের সদস্য গ্রেফতার

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত গঙ্গারাম রাভা ওরফে লোথা ওরফে অনিলের বাড়ি অসমের কোকরাঝার জেলার মাগুরমারির রাভাপাড়ায়৷ ২৮ বছরের এই যুবক দীর্ঘদিন থেকেই রাভা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত৷ ২০০৯-১০ সালে কোকরাঝার-ভুটান সীমান্তে সংগঠনের ২৭ নম্বর ব্যাচে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও নেয় সে৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০৩
Share: Save:

প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাদের একাংশের আশঙ্কাই মিলে গেল৷ নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিবেশী রাজ্য অসমে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়ায় আলিপুরদুয়ারে আশ্রয় নিতে ঢুকে পড়ল ওই রাজ্যের জঙ্গি সংগঠনের এক সদস্য৷ মঙ্গলবার রাতে বঞ্চুকামারি থেকে গঙ্গারাম রাভা নামে ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যকে তার এক সঙ্গী-সহ গ্রেফতার করে পুলিশ৷ কিন্তু অসম সীমানায় এত নিরাপত্তার পরও কী করে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য আলিপুরদুয়ারে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করেছে৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত গঙ্গারাম রাভা ওরফে লোথা ওরফে অনিলের বাড়ি অসমের কোকরাঝার জেলার মাগুরমারির রাভাপাড়ায়৷ ২৮ বছরের এই যুবক দীর্ঘদিন থেকেই রাভা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত৷ ২০০৯-১০ সালে কোকরাঝার-ভুটান সীমান্তে সংগঠনের ২৭ নম্বর ব্যাচে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও নেয় সে৷

পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার অসম সীমানা পেরিয়ে আলিপুরদুয়ারে প্রবেশ করে সে৷ বঞ্চুকামারির রাভাপাড়া দখলবস্তি এলাকায় সহযোগী রাভার বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও ডেনড্রুপ শেরপা ও আলিপুরদুয়ার থানার আইসি জয়দেব ঘোষের নেতৃত্বে আলিপুরদুয়ার ও কালচিনি থানার পুলিশ যৌথভাবে সহযোগীর বাড়িতে অভিযান চালায়৷ গোটা বাড়িটিকে ঘিরে ধরে বাইরে থেকে তালবন্ধ একটি ঘর থেকে গঙ্গারামকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ তাকে আশ্রয় দেওয়া গ্রেফতার করা হয় সহযোগীকেও৷ যদিও ধৃত জঙ্গি সদস্যের কাছে কোন অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর৷ পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০১৬ সালে পাটকাপাড়ায় এক ব্যবসায়ী অপহরণের মামলাতেও সে জড়িত৷

রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, রাভা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের এক সদস্য-সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ রাভা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সদস্য কেন আলিপুরদুয়ারে এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এনারসি-র জেরে অসমে কড়াকড়ি ও সিআরপিএফ মোতায়েন হতেই গ্রেফতারের ভয়ে আশ্রয় নিতে মঙ্গলবার রীতিমত বাসে চেপে আলিপুরদুয়ারে ঢোকে ওই সদস্য৷

মঙ্গলবারই আলিপুরদুয়ার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ আশংকা প্রকাশ করেছিলেন, অসমে কড়াকড়ির জেরে এ রাজ্যে সেখানকার কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য আলিপুরদুয়ারে আশ্রয় নিতে পারে৷ সেজন্য জেলার অসম সীমানায় নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কড়া সেই নিরাপত্তা পার করে গঙ্গারাম কীভাবে জেলায় প্রবেশ করল? জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

যদিও এ দিন আদালতে তোলার সময় গঙ্গারাম দাবি করেন, তিনদিন আগে মামা বাড়িতে ঘুরতে তিনি আলিপুরদুয়ারে আসেন৷ যদিও পুলিশের একটি সূত্রের আবার দাবি, সহযোগী বা তার বাড়ির লোকেরা গঙ্গারামের আত্মীয় নন৷ আদালতে তোলার পর ধৃতকে এদিন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arrest Terrorist
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE