Advertisement
E-Paper

সুগার আর মায়ের হাতের পিঠের গল্প

বছরভর রাজনীতির কাজে ব্যস্ত ওঁরা। কিন্তু পৌষ সংক্রান্তির দিনটাকে এড়াবেন কী করে? হাজার হোক পিঠে-পায়েস খাওয়া বাঙালি তো! তাঁদের কথা শুনল আনন্দবাজার বছরভর রাজনীতির কাজে ব্যস্ত ওঁরা। কিন্তু পৌষ সংক্রান্তির দিনটাকে এড়াবেন কী করে? হাজার হোক পিঠে-পায়েস খাওয়া বাঙালি তো! তাঁদের কথা শুনল আনন্দবাজার

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৭
অঙ্কণ: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

অঙ্কণ: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

মায়ের হাতের স্বাদ

পৌষ সংক্রান্তি এলেই মায়ের হাতে তৈরি পাটিসাপ্টা, গুড়ের পায়েস আর নানান পিঠের কথা মনে পড়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের। এখন স্ত্রীয়ের হাতযশে গৌতমবাবুর সংক্রান্তি ভরপুর। বলছিলেন, ‘‘এখন সুগারটা নিয়ন্ত্রণে। তাই দু’-একটা পাটিসাপ্টা বেশি খেতেই পারি। তবে মায়ের হাতে স্বাদ কি আর ভোলা যায়!’’

ঘ্রাণেই অর্ধেক ভোজন

একটা সময়ে চেটেপুটে পিঠে-পুলি, পায়েস খেতেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। এখন নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়, তাই মিষ্টি দূরেই রাখেন। তবু পৌষ সংক্রান্ত হলে বাড়িতে তো কিছু বানাবেনই তাঁর স্ত্রী। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘সংক্রান্তির সময়ে বাতাসে পিঠে-পুলি তৈরির যে ঘ্রাণ, তার অনুভূতিই আলাদা! তবে একটু চেখেও তো দেখতে হবে। পৌষ সংক্রান্তি বলে কথা!’’

পুষ্পিতার মুগ-পুলি

ব্যস্ত দিনলিপি। তবুও ভোরে উঠে চালের গুড়ো, খেজুরের গুড় সাজিয়ে বসছেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। সংক্রান্তির দিন তো তাঁর বাড়িতে বিরাট ভিড়। যত পিঠেই লাগুক, সব বানাচ্ছেন নিজের হাতে। মুগের পুলির আব্দারই বেশি। স্বামী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী নরেন্দ্রনাথ ডাকুয়া বলেন, “ওটা একবার খেলে ঘুরেফিরে পরের সংক্রান্তিতে আবার আসতে হবে।’’

মন দিদার রান্নাঘরে

পৌষ সংক্রান্তির মানেই আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর স্মৃতি জুড়ে দিদার নানা কাহিনি। ছেলেবেলা কেটেছে সূর্যনগরের মামাবাড়িতে। সেখানে কাঠের দালানে বসে দিদা রানবালা দেবীর তৈরি পিঠের জন্য অপেক্ষা আর তার সুবাস এখনও মনে লেগে রয়েছে তাঁর। এখন অনেকেই দোকানের তৈরি পিঠে নিয়ে আসেন। সৌরভের কথায়, ‘‘মন কিন্তু পড়ে থাকে দিদার সেই রান্নাঘরে।’’

পিঠে চুরির স্বাদ

পিঠে ভাজা শুরু হলেই ছোঁকছোঁক করতেন তিনি। মা গুনে গুনে দিতেন। তাতে মন উঠতো না। যেই না মা একটু এদিক-ওদিক যেতেন, অমনি দু’হাত ভর্তি করে পিঠে নিয়ে দে ছুট। ছোটবেলার এমন পিঠে চুরির গল্প করছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বলছিলেন, “মালপোয়ার দিকে আমার আকর্ষণ ছিল বেশি। এ ছাড়া পাটিসাপ্টা, দুধপুলিও খেতাম।’’ আর এখন? ‘‘সুগার ফ্রি দিয়ে তৈরি মালপোয়া খাই!’’

সময় কম, তাই...

কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে থাকলে প্রতি বছর পিঠে-পায়েস বানিয়ে সকলকে খাওয়াতেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। কিন্তু ২০০৯ সালে সাংসদ হওয়ার পর থেকে সরকারি ও দলীয় কাজে বেশির ভাগ সময়ে দিল্লিতে থাকতে হয়। গত ৮ বছর সেখানেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী প্রিয়রঞ্জন। তাঁর দেখভালের জন্যও দীপা পিঠে বানাতে সময় পান না।

Gautam Deb TMC Tourism Minister Traditional Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy