নিরুপায়: ডালখোলা যানজটে আটকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
যানজট এবং ডালখোলা যে সমার্থক, এবার তা টের পেলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ স্বয়ং। বুধবার ডালখোলা শ্রীঅগ্রসেন কলেজের নতুন ভবনের শিলান্যাস করতে যাওয়ার সময় প্রায় আধঘণ্টা যানজটে থমকে থাকে মন্ত্রীর গাড়ি। পুলিশ চেষ্টা করলেও প্রাথমিক ভাবে অবস্থা সামাল দিতে পারেনি। পরে বাড়তি পুলিশ গিয়ে পাইলট কার ও মন্ত্রীর গাড়িকে এগনোর ব্যবস্থা করে দেয়। তবে, রেলগেটের কাছে ফের কিছুক্ষণের জন্য যানজটে থমকে যায় মন্ত্রীর গাড়ি।
দু’দফায় আটকে পড়ায় ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘ডালখোলায় কেন এত যানজট থাকে? আমি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের কাছে বিষয়টি বলেছি। আশা করি, তাঁরা যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।’’ ডালখোলা ট্রাফিক পুলিশের দাবি, রেল গেট বন্ধ থাকার কারণেই মন্ত্রীর গাড়ি সাময়িক ভাবে যানজটে আটকে পড়েছিল। এই বিষয়ে ট্রাফিক ডিএসপি দেবরাজ ঘোষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যদিও ডালখোলার পুরপ্রধান সুভাষ গোস্বামী বলেন, ‘‘পুলিশ সচেতন থাকলে মন্ত্রীকে এতক্ষণ থমকে থাকতে হত না!’’ একইসঙ্গে পুরপ্রধান জানান, যানজটের হাত থেকে মুক্তি পেতে বাইপাসের কাজ চলছে।
এ দিন রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দু’টি কর্মসূচি ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলায়। সকাল ১০টায় ডালখোলা কলেজের অনুষ্ঠান এবং দুপুর ২টোয় চোপড়ার দেবীঝোরায় রাস্তার উদ্বোধন। যানজটের জেরে ডালখোলা কলেজে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে পারেননি মন্ত্রী।
এদিন ডালখোলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক যানজট মুক্ত রাখার জন্য সকাল থেকে প্রচুর ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। কয়েকটি ছোট গাড়ি, বাস, ট্রাক বিধি না মেনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সূত্রপাত হয়। তাতেই আটকে
পড়েন মন্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা সমীরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘সাধারণত ভিআইপি’রা যানজটে পড়েন না। এদিন যে কী ভাবে হল, জানি না। তবে, ভিআইপি এলে আমরা খানিক স্বস্তিতেই থাকি! কারণ, কিছুটা হলেও পুলিশ তখন বেশি নজর দেয়। তা না হলে দু’তিন ঘণ্টা যানজটে থমকে থাকা কোনও ব্যাপারই নয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy