ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠ করতে গিয়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ব্যবসায়ী দম্পতিও।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরের ধুরিটোলা গ্রামের ঘটনা। বুধবার পুলিশ মৃতেদহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ওহেদুর রহমান (২৮)। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক থানার হিম্মতনগর গ্রামে। আহত বিড়ি ব্যবসায়ী তারেশ্বর মন্ডল ও তাঁর স্ত্রী সুমিতাদেবী গুরুতর জখম অবস্থায় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালদহের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, ‘‘ঘটনার সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
বৈষ্ণবনগর থানার বেদরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুরিটোলা গ্রামের অবস্থাপন্ন পরিবার হিসেবে পরিচিত তারেশ্বর বাবুরা। মঙ্গলবার রাত দু’টো নাগাদ তারেশ্বরবাবুর শোওয়ার ঘরে পাঁচ জনের একটি দল ঘরে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোনা নিয়ে ডাকাত দল পালানোর সময় এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন পরিবারের লোকেরা। বাড়ির উঠোনেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি দেখে অপর একজন দুষ্কৃতীরা হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারতে থাকেন তারেশ্বরবাবুর উপরে। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় গৃহকর্তার মতো হাঁসুয়ার আঘাতে জখম হয় ওই দুষ্কৃতীও। তারেশ্বরবাবুকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে ভজনবাবুও। তাঁদের চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে গেলে দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে এক একজন পালিয়ে যায়। তবে আহত দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাঁকে ধরে গণপিটুনি দেয় জনতা। পরে ওই দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে নিয়ে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের অনুমান, গণপিটুনিতেই ওই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy