বাসিন্দাদের একাংশ দলবদ্ধ ভাবে জুয়ার আসরের প্রতিবাদ করেছিলেন। আর সেই ক্ষোভের গ্রামে ঢুকে মারধর ও গুলি চালাল একদল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামপুর থানার দক্ষিণ মাটিকুণ্ডা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকাতে একটি জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। স্থানীয় তৃণমূল প্রধানের স্বামী বলরাম মোদকের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটেও যায়। পরে ফের এলাকাতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গ্রামে বাসিন্দাদের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি গুলি ও বোমা ছোড়ে। ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন ৪ জন বাসিন্দা। লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন এক জন। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ইসলামপুরের এসডিপিও প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। কেউ গুলিতে আহত রয়েছে কি না, তা মে়ডিক্যাল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়।’’ তিনি জানান, এলাকাতে পুলিশি টহল চলছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই এলাকাতে জুয়ার আসর বসায় মাটিকুণ্ডা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝলঝলির বাসিন্দা এক দল যুবক। মাটিকুণ্ডা এলাকার মাছ বাজারের মধ্যেই জুয়ার আসর চলছিল। বহু বাসিন্দা সেখানে টাকা পয়সা খুইয়ে বসেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে গ্রামে ক্ষোভ দানা বাঁধে। এ দিন ওই জুয়ার আসরে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন একদল বাসিন্দা। প্রথমে গোলমাল হলেও পরে তা মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর হঠাৎ এক দল যুবক ধারাল অস্ত্র, পিস্তল, বোমা নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে জামালউদ্দিন নামের এক বাসিন্দাকে মাটিতে ফেলে বাঁশ লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। ছররা গুলি ও লাঠির আঘাতে আহত হন আরও চার জন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই ওই এলাকাতে জুয়ার আসর বসে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। ছোট ছোট ছেলেরাও টাকা নিয়ে জুয়ার আসরে চলে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা তাইমূল হক, মসিরউদ্দিনরা জানান, পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তাই লোকজন নিজেরাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। প্রথমে সব মিটে যায়। পরে ওরা এমন ভাবে হামলা চালাবে কেউ ভাবতে পারেনি। পুলিশ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এমন সাহস দুষ্কৃতীরা পেত না। ইসলামপুরের এসডিপিওর-র দাবি, এলাকাতে বহুবার অভিযান হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy