Advertisement
E-Paper

পাম্পে লুঠপাট, মারধর কর্মীদের

পেট্রোল পাম্পের মালিক ও কর্মীদের মারধর করে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালাল বাইক আরোহী চার দুষ্কৃতী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৭

পেট্রোল পাম্পের মালিক ও কর্মীদের মারধর করে লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালাল বাইক আরোহী চার দুষ্কৃতী।

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা মণিপুরে শুক্রবার রাতের ঘটনা। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ওই পেট্রোল পাম্প। খবর পেয়ে ফাঁড়ি থেকে পুলিশকর্মীরা পৌঁছালেও দুষ্কৃতীদের হদিশ মেলেনি।

বিহার সীমানা ঘেঁষা এলাকার ওই পেট্রোল পাম্পে আগেও তিনবার লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ওই পাম্প লাগোয়া একটি বিলিতি মদের দোকানেও লুঠপাটের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায়েও জড়িতদের কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। ফলে এলাকাজুড়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

ভালুকা থেকে গোবরাহাটগামী ফুলহার বাঁধের পাকা রাস্তার পাশেই রয়েছে পাম্পটি। অভিযোগ, শুক্রবার রাত সাড়ে নটায় পাম্প বন্ধ করার আগের মুহূর্তে দু’টি বাইকে চেপে আসে চার জন।

প্রত্যেকের মুখ মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল। বাইকে তেল ভরে তারা তখনকার মতো চলে যায়। কিছুক্ষণ বাদে পাম্প বন্ধ করে টাকার ব্যাগ হাতে নিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ান কর্মী রামু মণ্ডল। পেট্রোল পাম্পের মালিক কমলনাথ রায় তখন পাম্প বন্ধ করছিলেন। সে সময় ওই চার জন ফের পাম্পে হাজির হয়ে রামু মণ্ডল ও কমলবাবুর উপরে চড়াও হয়। দু’জনকেই পাম্পের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ঘরে আটকে মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। মোবাইল ফোন কেড়ে নিে চলে লুঠপাট। দুষ্কৃতীরা হানা দেওয়ার সময় পালিয়ে গিয়ে পাম্প কর্মী রঞ্জন মণ্ডল লোকজনকে খবর দিতে তাঁরা ছুটে এসে কমলবাবু ও রামু মণ্ডলকে উদ্ধার করেন।

পাম্পের মালিক কমলনাথবাবু বলেন, ‘আগেও তিনবার পাম্পে দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালিয়েছে।’’ পুলিশ কাউকে ধরতে না পারায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান, চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার।

Miscreants Petrol pump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy