Advertisement
E-Paper

নির্মল প্রকল্প নস্যাৎ, জঞ্জালে ঢেকেছে শহর

পরিচ্ছন্নতা নিয়ে একাধিক প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। ‘স্বচ্ছ ভারত’, ‘নির্মল বাংলা অভিযান’-এ সামিল হওয়ার আহ্বান নিয়ে পঞ্চায়েত-প্রশাসনের কর্তাদের প্রায়শই ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামতে দেখা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:১৬
দুর্গন্ধে পথ চলা দায়। নিজস্ব চিত্র।

দুর্গন্ধে পথ চলা দায়। নিজস্ব চিত্র।

পরিচ্ছন্নতা নিয়ে একাধিক প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। ‘স্বচ্ছ ভারত’, ‘নির্মল বাংলা অভিযান’-এ সামিল হওয়ার আহ্বান নিয়ে পঞ্চায়েত-প্রশাসনের কর্তাদের প্রায়শই ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজনের ঘাটতিও নেই। কিন্তু এ সবের পরেও মালদহের মহকুমা সদর চাঁচলের জঞ্জালের চিত্র বিশেষ পাল্টায়নি।

চাঁচলের রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেই দেখা যায়, কোথাও রাস্তার উপরে জমে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। কোথাও নিকাশি নালার জঞ্জাল তুলে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে। জঞ্জালের ওই স্তূপ থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধে পথ চলা দায় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাওয়ায় উড়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, ধুলো ঢুকে পড়ছে বাড়িতেও। শহরের আবর্জনার একটা বড় অংশ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বলে জানান বাসিন্দারা। যত্রতত্র নোংরা, আবর্জনার জমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মশার দাপটও। শহরের খোলা নিকাশি নালার জমা জল মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এ রকম হলেও প্রশাসনের কোনও রকম হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকার কারণেই এই সমস্যা হয়েছে বলে পঞ্চায়েত-প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা যেরকমই হোক, শহরের মধ্যে আবর্জনা ফেলে দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

চাঁচলের মহকুমাশাসক পুষ্পক রায় বলেন, ‘‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমি খোঁজা হচ্ছে।’’ দ্রুত সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের নেতাজি সুভাষ রোড থেকে শুরু করে কলেজ রোড, থানা, ব্লক রোড থেকে পাড়ার রাস্তা সব জায়গাতেই আবর্জনা জমে থাকে রাস্তার উপরেই। আবার নজরুল পল্লি, ধনিয়াপট্টি, বারগাছিয়া, তরলতলা এলাকায় নর্দমা থেকে তোলা জঞ্জাল ফেলে রাখা হয় রাস্তার পাশে বা লোকালয়ের কোনও ফাঁকা জায়গায়। ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় এক সময় রাস্তার পাশে আবর্জনার ভ্যাট রাখা হয়েছিল। এখন সেগুলিও রাখা হচ্ছে না কেন তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের বিরোধী দলনেতা অমিতেশ পান্ডের অভিযোগ, চাঁচলে খাস জমির অভাব নেই। পঞ্চায়েত-প্রশাসনের উদ্যোগের অভাবেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ এগোয়নি। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নরেশ দাস বলেন, ‘‘প্রশাসনকে সমস্যার কথা বলেছি।’’ জঞ্জাল-যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ শহরের পরিবেশ আন্দোলনকারী তথা শিক্ষক কমলকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘‘জঞ্জাল দূষণে বাড়ছে রোগের প্রকোপও।’’ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে জঞ্জাল সমস্যা মেটানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Chanchal Nirmal Bangla
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy