Advertisement
০৫ মে ২০২৪

এ বার সরানো হল অর্ঘ্যকেও

আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পর এ বার সরানো হল অর্ঘ্য রায় প্রধানকে। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি ছিলেন অর্ঘ্যবাবু।

বিধায়ক: অর্ঘ্য রায়প্রধান। নিজস্ব চিত্র

বিধায়ক: অর্ঘ্য রায়প্রধান। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:৫০
Share: Save:

আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল জেলা সভাপতির পদ থেকে সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পর এ বার সরানো হল অর্ঘ্য রায় প্রধানকে। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি ছিলেন অর্ঘ্যবাবু।

দলীয় সুত্রের খবর, পয়লা মার্চ কালীঘাটে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পদ থেকে অর্ঘ্যবাবুকে সরিয়ে নতুন কাউকে বসানোর কথা জানিয়ে দেন। দু’দফায় দীর্ঘদিন ধরে যুব তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন অর্ঘ্যবাবু। বর্তমানে তিনি মেখলিগঞ্জের বিধায়ক। তাই মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়িতে দলের সংগঠনের কাজও তাঁকেই দেখাশোনা করতে হয়। এর পরে যুব তৃণমূলের জেলার কাজ সামলানো কঠিন হচ্ছিল। ইদানিং সংগঠনের তেমন কোনও কর্মসূচিও কোচবিহার জেলায় দেখা যাচ্ছিল না। তা নিয়ে সংগঠনের একটি অংশ দলের অন্দরে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাতেই দলনেত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি। যদিও প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাননি।

২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথমবার যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন অর্ঘ্যবাবু। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। পরবর্তীতে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুভজিত কুন্ডুকে। পরে তা দেওয়া হয় রানা বসুকে। বছর খানেক আগে অসুস্থ হয়ে রানাবাবুর মৃত্যুর পরে ওই পদে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে বিরোধ তৈরি হয়। ফের অর্ঘ্যবাবুকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দলেরই এক নেতার কথায়, “অর্ঘ্যবাবু এখন মূল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বয়সও বেড়েছে। তাই কমবয়েসি কাউকে ওই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।” জেলার রাজনীতিতে অর্ঘ্যবাবু তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরোধী হিসেবেই পরিচিত। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ওই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।” আর অর্ঘ্যবাবু বলেন, “দল যা দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করাই আমার কাজ। নতুন যাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁকে সব রকম সহযোগিতা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MLA District TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE