Advertisement
০৩ মে ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার, জল ঠেলে মিছিলে সেলিম

দুপুরে রতুয়া এবং চাঁচলের জনসভায় যোগ দেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ফোন থেকে রতুয়ার সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের সমর্থনের বামফ্রন্টের মোহঃ সেলিমের সাথে কংগ্রেস

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের সমর্থনের বামফ্রন্টের মোহঃ সেলিমের সাথে কংগ্রেস নেতৃত্ব একসাথে মিছিল করলেন মালদহ মানিকচকে।নিজস্ব সংবাদদাতা।

অভিজিৎ সাহা ও বাপি মজুমদার 
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫৬
Share: Save:

কোথাও ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কোথাও জল-কাদা ভেঙে কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বুধবার শাসক এবং বিরোধী শিবিরের ওজনদার নেতা, নেত্রীর প্রচারকে ঘিরে সরগরম মালদহ। শুধু তৃণমূল, সিপিএমই নয়, প্রচারের শেষ দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে জোরদার প্রচার চালায় কংগ্রেস, বিজেপিও।

এ দিন দুপুরে রতুয়া এবং চাঁচলের জনসভায় যোগ দেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ফোন থেকে রতুয়ার সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এ দিন প্রায় ১২ মিনিট মোবাইল ফোন কলের মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বাম, কংগ্রেস, বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গা, ফুলহারে ভাঙন রয়েছে। রাজ্য সরকার ভাঙন রোধে কাজ করছে। কেন্দ্র ভাঙন রোধে এক টাকাও দেয় না। বিজেপি শুধু জাত-পাত নিয়ে রাজনীতি করে।” এর পরে, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েতে ভোট দেওয়ার বার্তা দেন তিনি। পরে, দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েত ভোট করারও নির্দেশ দেন এ দিন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন গনি খানের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। বাম, কংগ্রেসকে ভোট না দেওয়ার বার্তা দেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, “আমরা সবাই এক সময় কংগ্রেস করতাম। পরে, সবাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। বরকতদা বেঁচে থাকলে তিনিও তৃণমূলে যোগ দিতেন।” তবে মন্ত্রীর মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে চাননি জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।

মানিকচকের মথুরাপুরে জনসভা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এর পরে, তিনি মথুরাপুরে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন তিনি। মথুরাপুর বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। সে জলের মধ্যে দিয়ে মিছিল করে হেঁটে যান সেলিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিম আলম। এ দিনের সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সেলিম। তিনি বলেন, “বিজেপিই তৃণমূলকে তৈরি করেছে। বিজেপির যখন প্রয়োজন হয়, তখন তৃণমূলকে বার করে। তৃণমূল ও বিজেপির উদ্দেশ্য ছিল, বাম, কংগ্রেসকে উৎখাত করা।” রাজ্যের দুর্নীতি নিয়েও সরব হন তিনি।

এ দিনই রতুয়ায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচার করেন বিজেপির শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। হবিবপুরে ধামসা মাদল বাজিয়ে প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামেন বিধায়ক জোয়েল মুর্মু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন শঙ্কর। কালিয়াচকে পায়ে হেঁটে প্রচার করেন কংগ্রেস নেতা ইশা খান চৌধুরী। হেভিওয়েট নেতা, নেত্রীদের পাশাপাশি, প্রার্থীরাও নিজেরাই প্রচার করেন। এ দিন আবহাওয়া ভাল থাকায় সকাল থেকেই প্রচারে জোর দেন ডান-বাম শিবিরের প্রার্থীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE