আশায়: বিমল গুরুঙ্গ। নিজস্ব চিত্র
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জিতলে খুশির হাওয়া বয় পাহাড়ে মোর্চার দফতরে।
কারণ, এত দিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির ধাক্কায় কোণঠাসা হয়ে পড়া বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরিরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। কারণ, মাথার উপরে মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলার চাপ। তার শুনানির সময়ে মোর্চার প্রথম সারির সব নেতাকে থাকতে হবে কলকাতায়। কারণ, পাহাড়ে তৃণমূলের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা। পরের পর বোর্ড গড়ে গুরুঙ্গের জনভিত্তি অনেকটাই টলিয়ে দিয়েছেন মমতা।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয় যেন গুরুঙ্গদের জন্য বসন্ত বাতাস। তাঁরা আর কালক্ষেপ করেননি। শনিবার বিকেলের মধ্যেই মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে দিল্লি গিয়ে মোদী শিবিরের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার তোড়জোরও শুরু করেছেন।
বিমল গুরুঙ্গ এ দিন কালিম্পঙে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন। বেলা যত বেড়েছে, ততই স্পষ্ট হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ফল। তখন তিনি দার্জিলিঙে দলীয় নেতানেত্রীদের বলেন, বিজেপির শরিক হিসেবে এই সাফল্যের দিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে। একই সঙ্গে নিজেও দিল্লিতে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘বিজেপির বিরাট জয়ে আমরা খুশি। এতে আমাদের হাতই শক্ত হল।’’ তিনিই জানান, ‘‘কিছু দিনের মধ্যে আমরা দিল্লি যাব।’’
তবে মোর্চার শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে বিজেপির সাফল্যের কথা তুলে ধরলেও অন্দরে অনেকটাই সাবাধানী। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েক জন নেতা জানান, ‘‘আমরা এনডিএ শরিক। কিন্তু রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব পুরোপুরি আমাদের বিরোধী। আলাদা রাজ্য তো দূরের কথা, উল্টে তাঁরা পাহাড়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করারই চেষ্টা চালাচ্ছেন। আসন্ন পুরভোটে তাঁরা কতটা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’ আর তা যদি হয়, তা হলে উত্তরপ্রদেশের জয়ে তাঁদের কোনও লাভ নেই, বলছেন ওই মোর্চা নেতারা। তাই জাতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা।
মোর্চা নেতানেত্রীদের উচ্ছ্বসিত না হয়ে বরং চোখকান খোলার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিন্নি শর্মা। তিনি জানান, ‘‘বিজেপি মোর্চাকে কোনও দিনই তেমন গুরুত্ব দেয় না। নইলে তো এ কয়েকটা বছরে অনেক কিছুই হতো। অযথা ওঁরা নাচানাচি করছেন। পাহাড়ের উন্নয়নে যা হচ্ছে, যা হবে সবই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy