এক মেয়ের মাধ্যমিক শুরু এ মাসেই। সামনের মাসে বড় মেয়ের উচ্চমাধ্যমিক। সকালে দু’জনেই পড়তে বসে রোজকার মতো চিৎকার হইহল্লা শুনে আর থাকতে না পেরে মা-কে গিয়ে বলে। দীর্ঘ দিন চেপে রাখা বিরক্তিতে ফেটে পড়েন তাদের মা-ও। সোজা জুয়ার আসরে গিয়ে চেঁচামেচি করতে বারণ করেন। তখনকার মতো দু’চার জন চলেও যায়। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে জনা চারেক লোক গিয়ে ওই দুই ছাত্রীদের মা-কে বাড়ির সামনে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয়।
টাপুরহাটের ওই বধূ এ দিন সকালেই কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী দুই পক্ষই তৃণমূলের কর্মী। তাই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। তবে ঘুঘুমারি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সহিরুদ্দিন মিয়াঁ বলেন, “কেউ অন্যায় করলে শাস্তি পাবে। দলের কথা বলে কেউ ছাড় পাবে না।”
বধূর এক আত্মীয় জানান, সকলের চোখের সামনেই মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁদের বাড়ির মাত্র ৫০ মিটার দূরেই ফাঁড়ি। সেখানে গেলে ফাঁড়ি থেকে তাঁদের কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই বধূকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে, সবই খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই বধূর বাড়ির সামনে নিয়মিতই জুয়ার আসর বসে। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে চেঁচামেচি। দুই মেয়ের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে দেখে ওই বধূ এর আগেও প্রতিবাদ করেছিলেন। তাতে কিছু হয়নি। সোমবার সকালে তিনি রুখে দাঁড়ালে তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়। তাঁকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বধূর দাবি, ফাঁড়িতে গিয়েও মৌখিক ভাবে জুয়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। কাজ হয়নি। এ বার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিচারের আশায় আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy