ফুটফুটে মেয়ের মুখ দেখে লড়াইয়ের ইচ্ছেটা আরও তীব্র হয় ডুয়ার্সের চা বাগানের তরুণীর। সন্তানকে জন্ম যখন দিয়েছেন, জন্মদাতার পরিচয় অস্বীকার করার তো প্রশ্নই ওঠে না। জীবন নষ্ট করে দিতে চাওয়া দুর্ঘটনাটাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চোখের সামনে রেখে দিতে চান তরুণী। তার নতুন জীবন গড়ার লড়াইয়ে ওই নামটা যেন একটা জীবন্ত প্রতিবাদ। মেয়ের বাবার পরিচয়ের জায়গায় তাই স্বেচ্ছায় রেখেছেন নিজের ধর্ষকের নাম। তাকে শাস্তি দেওয়াও তো এখনও বাকি।
দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ দিন ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। গত বছর দুর্গাপুজোর আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে কালচিনিতে মায়ের কাছে তিনি ফেরেন। শুক্রবার রাতেই জন্ম দিয়েছেন এক কন্যা সন্তানের। হাসপাতালের বেডে বসে উচ্ছ্বসিত গলায় বললেন, ‘‘মেয়ে আমার, আমি একা ওকে মানুষ করব। ওই লোকটাকে স্বীকারও করব না, অথচ ওর পরিচয়ই মেয়েকে বড় করব। নিজে পড়াশোনা শিখিনি। মেয়েকে অনেক পড়াব।’’ প্রায় সাত বছর কাজের পর বেতন চাইলে সংগঠনেরই এক সদস্য হিমেশ রাজপুত তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করে। পালিয়ে ফেরার পর মাস খানেক আগে থানায় অভিযোগ করেন তরুণী। দিল্লিতে ধর্ষকের ঠিকানায় খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় যে মহিলা তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছল, তারও খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy