Advertisement
E-Paper

বিমানবন্দরের জমি ফেরতের জন্য মউ স্বাক্ষর

এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার (এআইআই) হাত থেকে মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দরের জমি ফেরৎ নিয়ে নিল রাজ্য সরকার।বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে এএআই কর্তৃপক্ষের মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ০১:৪১
বালুরঘাট বিমানবন্দরের জমি। — নিজস্ব চিত্র

বালুরঘাট বিমানবন্দরের জমি। — নিজস্ব চিত্র

এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার (এআইআই) হাত থেকে মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দরের জমি ফেরৎ নিয়ে নিল রাজ্য সরকার।

বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে এএআই কর্তৃপক্ষের মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে আগামী ৩০ বছরের জন্য ১ টাকার বিনিময়ে রানওয়ে-সহ বিমানবন্দরের সমস্ত জমি রাজ্যের হাতে থাকবে। উত্তরকন্যায় মউ চুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দরের জমি আমরা নিজেদের হাতে নিয়েছি। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করে বিমান চলাচলের ব্যবস্থা হবে। আর বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য এএআই ২৩ একর জমি চেয়েছিল। ২২ একর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১ একর দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় দুই দশক আগে ওই দুই বিমানবন্দরের জমি এএআই-র হাতে তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিমানবন্দর দু’টির পরিকাঠামো থেকে রানওয়ে সবই তৈরি হয়। কিন্তু একাধিক বার এই বিমানবন্দর দু’টি থেকে বিমান চলাচলের চেষ্টা করা হলেও বিমান সংস্থাগুলি তাতে খুব একটা সাড়া দেয়নি। পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর মালদহ ও বালুরঘাট থেকে কলকাতায় হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করা হয়। কোনও ক্রমে টিকে আছে তা। এ দিন বালুরঘাট বিমানবন্দরের ১৩২.৬৬ একর এবং মালদহের ১১৪ একর জমি রাজ্য ফেরৎ নিল।

পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জমি ফেরৎ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এএআই-র অফিসারদের সঙ্গে কলকাতার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। সেখানে দু’টি বিমানবন্দরের পুনর্গঠন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সদিচ্ছা দেখান। এ দিনের মউ স্বাক্ষরের পর পূর্ত দফতর বালুরঘাট বিমানবন্দরের রানওয়ে উন্নয়নের কাজ শুরু করবে। তার পরেই শুরু হবে মালদহ বিমানবন্দরের কাজ। পরবর্তী কালে, দু’টি বিমানবন্দর থেকে ‘ফিক্স উইং এয়ারক্রাফ্ট সার্ভিস’ চালু করার চেষ্টা করা হবে। আবার বাগডোগরায় ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেমের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে জমি জট চলছিল। সম্প্রতি সেই সমস্যা মিটেছে। তবে ১ একর জমির দাম নিয়ে কয়েক জন জমির মালিকের সঙ্গে রাজ্যের দরাদরি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সেটিই দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এ দিনের চুক্তি নিয়ে এএআই-র তরফে কোনও আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, দেশের বহু বিমানবন্দর সেখানকার রাজ্য সরকার বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে চালায়।

হায়দারাবাদ বিমানবন্দরও সেই ভাবেই চলছে। অন্ডালও সে ভাবেই তৈরি হয়েছে। মালদহ, বালুরঘাটও তৈরি হতে পারে।

State government AAI Land Memorandum of Understanding
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy