Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Kaliachak

অভিযুক্তের হাতবাঁধা দেহ উদ্ধার

দিন পাঁচেক আগে ওই ঘটনা ঘটে মালদহের কালিয়াচকে। পুলিশ জানায়, আলিমুল শেখ নামে ওই যুবকের খুনের ঘটনায় মূল অভিযু্ক্ত ছিলেন বাক্কার মোল্লা (৬৫)।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিয়াচক শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪২
Share: Save:

বাচ্চাদের খেলার সময় কোনও ভাবে ভেঙেছিল মোবাইল ফোন। পড়শি বাড়ির ছেলের হাতেই তা ভেঙেছে বলে শুরু হয় গোলমাল। অভিযোগ, তার জেরে পিটিয়ে খুন করা হয় তার বাবাকে।

দিন পাঁচেক আগে ওই ঘটনা ঘটে মালদহের কালিয়াচকে। পুলিশ জানায়, আলিমুল শেখ নামে ওই যুবকের খুনের ঘটনায় মূল অভিযু্ক্ত ছিলেন বাক্কার মোল্লা (৬৫)।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে হাতবাঁধা অবস্থায় সেই বাক্কারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কালিয়াচকের সুজাপুরের স্কুলপাড়া গ্রামে। আলিমুল-কাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই বাক্কারকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচক থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার গভীর রাতে কালিয়াচকের সুজাপুরের স্কুলপাড়া গ্রামের আলিমুলকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে বাক্কার মোল্লা ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, আলিমুলের ছেলে ও বাক্কার মোল্লার নাতি মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করছিল। অভিযোগ, সেই সময় বাক্কার মোল্লার মোবাইল ফোন ভেঙে যায়। আর তা নিয়ে প্রথমে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি হয়। অভিযোগ, রাতে বাক্কারেরা দলবল নিয়ে আলিমুলকে পিটিয়ে খুন করেন। রবিবার বাক্কার এবং তাঁর পরিবারের পাঁচ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আলিমুলের পরিবারের লোকেরা।

ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাক্কার মোল্লার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাক্কার। পরিবারের দাবি, গ্রামে খোঁজ করেও তাঁর হদিস মেলেনি। বুধবার বিকেলে সুজাপুরের বিবিগ্রামের মাঠে কাপড় দিয়ে দু’হাত বাঁধা এবং গলায় ফাঁস জড়ানো অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় গ্রামে। নিহতের পরিবারের দাবি, আলিমুলের পরিবারের লোকেরাই বাক্কারকে খুন করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আলিমুলের দুই দাদা ওয়াহাব শেখ এবং নাসির শেখের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী তাসমিরা বিবি। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিশোধ নিতেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। এতে আলিমুলের পরিবারের লোকেরা জড়িত রয়েছে। আমরা চাই পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক।’’

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা ফেরার রয়েছে বলে জানান মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kaliachak Murder Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE