বালুরঘাট ‘শিল্পী মঞ্চ’ নাট্যমন্দিরে উদযাপন করল ‘২৫ এর পথে ২২ এর সাথে’। চার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ছিল কচিকাঁচাদের নিয়ে ‘অন্বেষণ’। সূচনা সঙ্গীত ‘ওই মহাসিন্ধুর ও পার থেকে’ পরিবেশন করেন মধুছন্দা গোস্বামী। মালবী, দেবারতি, সাম্যনীল, শ্রেয়া, তিলা়ঞ্জলি গেয়ে শোনাল আধুনিক গান রিমঝিম ঝিম ধ্বনি, মন তুমি পারবে না দিতে, সোনা রঙ রোদের ঝিলিক, সে বুঝি ফিরে গেছে, বাতাস ডাকে না আমার মতো। দেবারতি অধিকারী পরিবেশন করে শুভ দাশগুপ্তের কবিতা ‘যদিও’। ছিল নৃত্যাঞ্জলি এবং ‘হৃদকমল’ সংস্থার নৃত্যানুষ্ঠান এবং দেবজিৎ ও দেবস্মিতার আবৃত্তি। দ্বিতীয় দিন বাংলা বিচিত্রা শুরু হয় রাজর্ষি গোস্বামীর কণ্ঠে গণেশ বন্দনায়। বল মন সুখ বল, গঙ্গা আমার মা, এ তুমি কেমন তুমি, কী কথন বলে বাঁশি জনপ্রিয় আধুনিক গানগুলি একের পর এক গেয়ে শোনালেন সুজাতা বিশ্বাস, শ্যামলী চক্রবর্তী, বিভাস রায়, সিক্তা চন্দ প্রমুখ। ‘আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই’ গান শ্যামা সেন। নজরুলগীতি ‘বাগিচায় বুলবুলি তোর’ মধুছন্দা গোস্বামীর কণ্ঠে ছিল উপভোগ্য। রণজিৎ ভট্টাচার্য পরিবেশন করল আধুনিক ‘আহা রয় না’। আবৃত্তি শোনালেন সোমেন সমাজদার ও বিভাস দাস। বিমান দাস ও মৌমিতা ঘোষের দ্বৈত কণ্ঠে শোনালেন ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’। গিটারে আধুনিক গানের সুর বাজিয়ে শোনাল পা়ঞ্চালি বসাক। স্বর্ণালী সন্ধ্যার তৃতীয় দিন মানসী চক্রবর্তী, নিমিষা সাহা, শান্তনু দে, প্রান্তিক রায় প্রমুখ গেয়ে শোনালেন আধুনিক গান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রিয়াংকা বিশ্বাস, সঞ্জয় কর্মকার, সুবীর চৌধুরী। লোকগানে ছিলেন নিতাই মণ্ডল। তবলায় যোগ্য সঙ্গত করেন দেবাশীষ খান, মানব বিশ্বাস, তাপস দাস, সুদীপ্ত রায়, উদয় সিংহ রায়, টোটন সরকার। গিটারে ও কি-বোর্ডে সহযোগিতা করেন সঞ্জিত দাস এবং অনিন্দ্য দত্ত। হ্যান্ডসোনিকে ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। মঞ্চস্থ হয় ‘নাট্যকর্মী’র নাটক ‘দ্রোহ’।