বছর পঁয়ষট্টির জুলমাত হোসেনের বাড়ি ছিল কালিয়াচক ২ ব্লকের কেবি ঝাউবোনা পঞ্চায়েতের অলিটোলায়। ১৯৯৯-এর পরে তিন দফায় ভাঙনে ১১টি সংসদ বিশিষ্ট কেবি ঝাউবোনা পঞ্চায়েত গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সরকারি খাতায় তার অস্তিত্ব নেই। ভিটেমাটি খুইয়ে জুলমাত বাঙিটোলার ফিল্ড এলাকায় বাড়ি করেন।
অলিটোলায় জুলমাত অলিটোলা প্রাইমারি স্কুলের ১২১ নম্বর বুথের ভোটার ছিলেন। এখন জাহিরটোলা শিশুশিক্ষাকেন্দ্রের ৪২ নম্বর বুথের ভোটার। নির্বাচন কমিশনের তরফে ২০০২ সালের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে জুলমাতের নাম নেই। ফলে আতঙ্কিত জুলমাত ও তাঁর পরিবার। ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো কালিয়াচক ২ ব্লকের গোলক টোলা, সবরত টোলা, জানু টোলা, জায়গির টোলা, জাহি রটোলা, আলাদি টোলা, নাসরত টোলা, নবিটোলার কয়েক হাজার বাসিন্দার নামও সেই তালিকায় নেই। ফলে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে কাজ ফেলে বাড়িতে এসে নথি জোগাড়ের চেষ্টা করছেন।
২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকা ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে ‘গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ অ্যাকশন নাগরিক কমিটি’। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভাঙনে ভিটেমাটি খোয়ানো প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকার বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমরা কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে স্মারকলিপি দেব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)