কোটি টাকা বরাদ্দে সীমান্ত শহর জয়গাঁর দু’টি পঞ্চায়েত ও দলসিংপাড়া পঞ্চায়েতে একাধিক কাজে উদ্যোগী হয়েছে জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ। অন্য দিকে, সেখানেই নদীতে বাঁধ না থাকায় প্রায় বিলীন হতে বসেছে জয়গাঁ গোর্খা ভবন সংলগ্ন আপার খোকলাবস্তি এলাকার প্রধান রাস্তা। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা।
এই আপার খোকলাবস্তি এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা গোবরজ্যোতি নদী। সেই নদীর স্রোতেই বর্তমানে বিলীন হয়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তার অর্ধেকেরও বেশি অংশ। বাসিন্দাদের কথায়, যেখানে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দে সম্প্রতি জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ একাধিক নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু করেছে, সেখানে গোবরজ্যোতি সংলগ্ন আপার খোকলাবস্তি এলাকায় বাঁধের দাবি জানানোর পরেও কেউই কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জল সেই নদীতে এসে মেশায় তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। প্রতি বছরই নদী রাস্তার পাশাপাশি, গ্রাস করে বাসিন্দাদের চাষের জমি। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় কেউ অসুস্থ হলে তখন কাঁধে করে নদী পার করাতে হয়।
এলাকার বাসিন্দা রাজু প্রধান বলেন, “বর্ষার শুরুতেই রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ নদীর জলে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। ফের নদীর জল এলে যে টুকু বাকি আছে তাও ডুবে যাবে। এ ছাড়া আমার নিজের অধিকাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এ বছর বাড়িটাও হয়তো চলে যাবে নদীতে।”
আর এক বাসিন্দা উত্তম তামাং বলেন, “নদীতে বাঁধ না থাকায় এই রাস্তা প্রতি বছরই ভেঙে যায়। তার পরে কোনও মতে বালি, পাথর দিয়ে তা মেরামত করা হয়। তবে নদীতে বাঁধ না দেওয়া হলে এ ভাবেই ধীরে ধীরে গ্রামটাই বিলীন হয়ে যাবে।”
যদিও, এ বিষয়ে জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “সেখানে অনেকটাই বড় বাঁধের প্রয়োজন যা জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সেচ দফতরে জানিয়েছি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)