নানা অভিযোগের অন্ত নেই ব্যবসায়ীদের।
অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। প্রায় দু’বছর ধরে নানা মহলে ঘোরাঘুরি করেও ফেরত পাচ্ছেন না শিলিগুড়ির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী গোপাল ঘোষ। একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছে গিয়েও কাজের কাজ হয়নি। আবার মালদহের এক ব্যবসায়ী বহু লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা দাঁড় করানোর ৩ বছর পরেও প্রাপ্য অনুদান পাননি। কেউ আবার জমি পাওয়ার পরে তার চরিত্র বদলের ছাড়পত্র পেতে দিনের পর দিন ঘুরছেন কলকাতায়। উত্তরের ৮ জেলায় এমন হয়রানি, ঢিলেমির অভিযোগ ভুরি ভুরি।
তবে হয়রানির নালিশ কমছে না। তাই উত্তরবঙ্গের বণিক সভা, ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলির কাজে আরও গতি আনার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় শিল্পোদ্যোগী ও ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ শাখা, ফোসিন, বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অব নর্থ বেঙ্গলের মতো কয়েকটি সংগঠন। ফিকির তরফেও উত্তরবঙ্গে একটি শাখা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। সিআইআইয়ের এক সদস্য শিল্পোদ্যোগী সঞ্জিত সাহা জানান, মালদহ শুধু নয়, অনেক জায়গার ব্যবসায়ীদের নানা ফাইল কলকাতায় দিনের পর দিন পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সংগঠন চেষ্টা করছে। তবে আরও গতি জরুরি।’’
উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের অন্যতম বড় সংগঠন ফোসিন-এর সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের প্রতিটি সমস্যায় আমরা পাশে থাকি। আরও খেয়াল রাখার চেষ্টা করব।’’ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এক মুখপাত্র জানান, তাঁরা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার সেতুবন্ধনের জন্যই শিলিগুড়িতে পূর্ণাঙ্গ অফিস চালু করেছেন।
তা সত্ত্বেও হয়রানির সমস্যা কমছে না। ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সর্বভারতীয় কর্তা বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরাসরি সরকারের সঙ্গে ক্ষুদ্র চা চাষিদের বসাতে কোনও বণিক সংগঠন উদ্যোগী হচ্ছে না। সহায়ক মূল্য নিয়ে সমস্যা মিটছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy