ফাইল চিত্র।
আজ, রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার মুখ্যমন্ত্রী হাতে রয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরটিও। অথচ রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গড়ার পর দু’দফায় ঘোষণা করেও উত্তরবঙ্গে আসতে পারেননি তিনি। সব মিলিয়ে তাই এ বার তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণই বলা যায়। জানা গিয়েছে, এখানে প্রশাসনিক বৈঠকে দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিষয়টিও। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ বার নতুন কী ঘোষণা করেন, তা জানতে আগ্রহী উত্তরবঙ্গবাসী।
মুখ্যমন্ত্রীর আসার আগের দিন, শনিবারই সন্ধেয় শিলিগুড়ি এসে পৌঁছেছেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তার পরেই বাঘাযতীন পার্কে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। পুর প্রশাসক গৌতম দেব-সহ পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন দুই মন্ত্রী। রাতের দিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্রও এসে পৌঁছন শিলিগুড়িতে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে গত কয়েকমাসে মুখ্যমন্ত্রী কাজ চালিয়ে গেলেও নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ, নীতিগত সিদ্ধান্ত, সচিব এবং বাস্তুকারদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক এবং কাজের তদারকিতে কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে বলে দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। এ বারের সফরে এই জটগুলি মুখ্যমন্ত্রী কাটাবেন বলেই ধরা হচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্য স্তরের এক নেতার কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকলেও একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন। কিন্তু বাকি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে শুধু একটি দফতরে সব সময় নজর দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে এই দফতরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যাবতীয় জরুরি নির্দেশ দিয়ে যাবেন বলে আশা করা যায়।
সরকারি সূত্রের খবর, ২০১১ সালে প্রথম বার ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দফতরটি তৈরি করেন। দফতরের প্রথম দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌতম দেবকে। পাঁচ বছরের দফতরের কাজে মুখ্যমন্ত্রী মোটামুটি সন্তুষ্টই ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় উত্তরকন্যা, বেঙ্গল সাফারি, বিভিন্ন বড় প্রকল্প এই সময়ই তৈরি হয়।
পরের ভোটে উত্তরবঙ্গে এর কিছু ফল তৃণমূল পেয়েছিল বলে ধরা হয়। পরের বার, ২০১৬ সালে মন্ত্রীদের দফতর অদলবদল করার সময় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাজে খুশি হননি বলে নবান্নের অন্দরে শোনা যায়। এ বার গৌতম, রবীন্দ্রনাথ কেউ ভোটে জেতেননি। অন্য কাউকে না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দফতরটি রেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy