প্রতীকী ছবি।
শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল সাড়ে ছ’শোর কাছাকাছি। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত তিনশোর উপরে। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবাণু না-মিললেও প্রচুর বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না দেবীও। মঙ্গলবার কলেজ পাড়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসককে দেখান তিনি। চিকিৎসক ভাইরাল ফিভার হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। ডেঙ্গি কি না জানতে রক্ত পরীক্ষা করতেও বলা হয়। মেয়র অবশ্য বলেন, ‘‘রক্ত পরীক্ষায় রিপোর্টে ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি।’’ বাড়িতে থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
শহরের ১২, ১৫, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এখন সেই প্রকোপ কিছুটা কম বলেই জানিয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুজয় ঘটক। তবে ৪, ৫, ৩৯, ২০ নম্বরের মতো ওয়ার্ডে জ্বর, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার জানান, তাঁর ওয়ার্ডে বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেরই এনএসওয়ান রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। কয়েকদিন আগে জ্বরের পর বমি হয়ে এক বালক মারা গিয়েছে। রক্ত পরীক্ষা না-হওয়ায় তার ডেঙ্গি কি না বোঝা যায়নি। তাঁর ওয়ার্ড অফিসে স্বাস্থ্য শিবিরও করা হয়েছে।
তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পালের অভিযোগ, বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলোতে র্যাপিড কার্ড টেস্টে এনএসওয়ান পরীক্ষায় ডেঙ্গি জীবাণু মিলেছে কয়েক হাজার বাসিন্দার। তাঁর ওয়ার্ডেও জ্বরে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে জ্বর এবং ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রায় দু’শোর মতো রোগী বুধবারও ভর্তি ছিলেন। বর্ধমান রোড, খালপাড়া, সেবকরোড, প্রধানগরের বিভিন্ন নার্সিংহোমে জ্বর এবং ডেঙ্গি নিয়ে অনেকে ভর্তি রয়েছেন। রোগী বাড়ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy