Advertisement
E-Paper

শিশু চুরির তদন্তে বদলি অফিসার

গ্রেফতার হয়েছিলেন শিশু চুরি চক্রে অভিযুক্ত চিকিৎসক। উদ্ধার করা হয়েছিল আরও একটি শিশুকে। ঘটনার তদন্ত করছিলেন কোতোয়ালি থানার এসআই সৌমাল্য আইচ। বৃহস্পতিবার তাঁকেই বদলি করে দেওয়া হল ওই থানা থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৯

গ্রেফতার হয়েছিলেন শিশু চুরি চক্রে অভিযুক্ত চিকিৎসক। উদ্ধার করা হয়েছিল আরও একটি শিশুকে। ঘটনার তদন্ত করছিলেন কোতোয়ালি থানার এসআই সৌমাল্য আইচ। বৃহস্পতিবার তাঁকেই বদলি করে দেওয়া হল ওই থানা থেকে।

এ দিন কোচবিহার জেলা পুলিশে একটি রদবদল হয়। সেখানেই জানা যায়, সৌমাল্যবাবুকে তুফানগঞ্জ থানায় বদলি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে তদন্ত ধাক্কা খেতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। নতুন কোন তদন্তকারী অফিসারকে এই মামলায় নিয়োগ করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রুজু হওয়া মামলা দিন কয়েকের মধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। জেলা পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রুটিন বদলি হয়েছে কোচবিহারে। তাতে তদন্তে প্রভাব পড়বে না। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “সৌমাল্যবাবু ভালই কাজ করছিলেন। তবে তদন্ত চলবেই। বদলিতে কিছু সমস্যা হবে না।”

সূত্রের খবর, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে কোচবিহারের মহিষবাথানের বাসিন্দা দুই গৃহবধূর কাছ থেকে দু’টি শিশু উদ্ধার হয়। স্বাতী আচার্য এবং শিউলি দাস নামে ওই দুই বধূকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই একাধিক তথ্য আসে পুলিশের হাতে। উঠে আসে বাবুরহাটের ভাড়া বাড়িতে প্র্যাকটিস করা চিকিৎসক নিখিলেন্দু মহাপাত্রর নাম। শিউলি তাঁর সহকারী ছিলেন। ঘটনা সামনে আসার পরই এলাকা ছেড়ে পালান ওই চিকিৎসক। পরে তাঁকে চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানতে পারে, মহিষবাথানে একটি অনাথ আশ্রম তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন ওই চিকিৎসক এবং বাকি ধৃতরা। সেখানে কাজ দেওয়ার নাম করে কয়েক জনের কাছ থেকে টাকাও নেওয়া হয়। কলকাতার একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিখিলেন্দুবাবু। চার বছর আগে সেখান থেকে এসে তিনি বাবুরহাটে চেম্বার তৈরি করে স্ত্রী রোগের চিকিৎসা শুরু করেন। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, সেখান থেকেই অবৈধ কাজকর্মের ছক ছিল তাঁর।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের মনে হচ্ছে, ওই দুই মহিলা জেরায় নানা অসঙ্গত কথা বলছেন। কোচবিহারের চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার স্নেহাশিস চৌধুরী বলেন, “শিশু দত্তক নিতে হলে যে আইনি নথি থাকা প্রয়োজন, তার কিছুই অভিযুক্তের কাছে ছিল না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনা উদ্বেগজনক।” এখন নতুন অফিসার নিযুক্ত হওয়ার পরে তদন্তের মোড় কোন দিকে ঘোরে সেটাই দেখার।

child trafficking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy