এক আদিবাসী কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গাজলের ইসমাইল মদিপুকুর গ্রামের ঘটনায় কিশোরীকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গাজলের দেওতলা পঞ্চায়েতের কাটিকান্দর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
সোমবার ওই কিশোরী ইসমাইল মোদিপুকুর গ্রামে সপরিবার দাদুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, তার বাবা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তিন বোনের মধ্যে এই কিশোরীই বড়। মঙ্গলবার কিশোরী তার এক বোনকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামেরই টিউবওয়েলে জল আনতে যায়। অভিযোগ, তখনই ওই যুবক কিশোরীকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। বহু ক্ষণ না ফেরায় পরিবারের লোকেরা তার খোঁজ শুরু করেন। রাতে কিশোরী বাড়ি ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকেরা তাকে নিয়ে যান গাজল গ্রামীণ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রাতেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে মালদহ মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপনাঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ওই রাতেই থানায় অভিযোগ করেন পরিবারের লোকেরা। কিশোরীর মা বলেন, “দুই মেয়ে মিলে টিউবওয়েলে জল আনতে গিয়েছিল। ছোট মেয়ে বাড়ি ফিরে জানায় দিদিকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমরা সমস্ত জায়গায় খোঁজ করি। থানাতেও ঘটনাটি জানাই। পরে মেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানায়। অভিযুক্তর শাস্তি চাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। সে শ্রমিকের কাজ করে। ওই কিশোরীর সঙ্গে তিন মাস ধরে তার সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে ধৃত। পুলিশ ধৃতকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy