Advertisement
০২ মে ২০২৪
Satyen Roy

‘ইগো’ না ছাড়লে আসন পাবে না তৃণমূল: সত্যেন

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সত্যেন বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে এটা একুশের নির্বাচন, কঠিন নির্বাচন।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৮
Share: Save:

‘‘আমাদের নে তাদের ইগো ছাড়তে হবে। নাহলে জেলার একটি সিটেও দল জিততে পারবে না।’’ বুধবার এইভাবেই আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানালেন তৃণমূলের গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায়। সত্যেনের আরও দাবি, দল তাঁর গুরুত্ব না বুঝলে দলত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। সত্যেনের এমন মন্তব্য ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

২০১১ সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের এসসি-এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি সত্যেন রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুর থেকে প্রার্থী হয়ে হেরে যান এই রাজবংশী নেতা। অভিযোগ ওঠে, গঙ্গারামপুরের এক প্রভাবশালী নেতার ‘ইশারাতেই’ তাঁর পরাজয় হয়। সত্যেনকে হারিয়ে গতবারই প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী গৌতম দাস, বর্তমানে যিনি আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তারপর থেকেই দলের অন্যতম ‘বিদ্রোহী’ নেতা হিসেবে মাঝেমধ্যেই দলের কাজ নিয়ে মন্তব্য করতেন সত্যেন।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সত্যেন বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে এটা একুশের নির্বাচন, কঠিন নির্বাচন। এখনও নেতারা ইগো না ছাড়লে ভোট হবে না। ইগো ছেড়ে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নাহলে জেলার ছয়টি সিটেই দল হারবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘যে যত বড়ই মাতব্বর হোক না কেন, একার পক্ষে ভোটে জেতা যাবে না।’’ সম্প্রতি দলীয় পদ দেওয়া প্রসঙ্গে সত্যেন বলেন, ‘‘ভোটের আগে আমি কেন পদ নেব? পাঁচ বছর ধরে বলেছি তখন তো পদ দেয়নি? আমার গুরুত্ব যদি না বোঝে তাহলে আমি নিশ্চয়ই অন্য কিছু ভাবব।’’ সত্যেনের ইঙ্গিত, এ বারও তাঁকে প্রার্থী করতে হবে, নাহলে দল ছাড়বেন তিনি। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, ‘‘উনি যা বলেছেন সেটা ব্যক্তিগত মতামত। তবে আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েই কাজ করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Satyen Roy MLA TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE