প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ফের এক জনের মৃত্যু হল শিলিগুড়িতে। শনিবার বেলা একটা নাগাদ সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে তিনি মারা যান। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাপন দে (৪১)।
পরিবারের লোকেরা জানান, সপ্তমী থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। হায়দরপাড়ার এক চিকিৎসককে দেখানো হয়। নবমীর দিন বিকেলে রোগীকে বাড়িতে স্যালাইনও দেন তিনি। র্যাপিড কার্ড টেস্টে এনএসওয়ান রক্ত পরীক্ষায় তাঁর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। শুক্রবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তিলক রোডের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। বাপনবাবুর খুড়তুতো ভাই রাজু দের অভিযোগ, সেখানে রোগীকে ভর্তি করতে চাননি কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তাঁকে নেওয়া হয়। শনিবার ভোরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে। তাঁরা জানান, রোগীর অবস্থা ভাল নয়। অথচ চিকিৎসক দেখতে আসেন অনেক দেরিতে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
বাপনবাবু বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহকারী সম্পাদক ছিলেন। বাড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পুরসভার যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গি মারাত্মক ভাবে ছড়িয়েছে তার মধ্যে ওই এলাকা অন্যতম। তবে ১৫ ছাড়া অন্য ওয়ার্ডগুলোতে রোগ সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত বলে দাবি করেন কাউন্সিলররা। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের কথায়, ‘‘ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে উনি মারা গিয়েছেন বলেই শুনেছি। আরও কয়েক জন ব্যবসায়ী, ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ। চিন্তায় রয়েছি।’’
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ওই ব্যবসায়ী ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন বলে রিপোর্ট পাইনি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’ বিধানমার্কেট বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আর কেউ জ্বর ডেঙ্গির উপসর্গে আক্রান্ত কি না তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। বিধানমার্কেট ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী পাল জানান, মৃত্যুর খবর জেনেছেন। তবে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে কোনও খবর তাঁর কাছেও নেই। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে শিলিগুড়িতে। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাতশো ছাড়িয়েছে। জ্বর নিয়ে বহু রোগী আসছেন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy