Advertisement
E-Paper

সমঝোতায় দুই কলেজে জয় বিরোধীদের

ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই আসন সমঝোতা করে চাঁচল ও সাউথ মালদহ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে রুখতে পারলেও অধরা থেকে গেল সামসি কলেজ। এই কলেজে ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পেয়েছে ১১টি আসন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৩

ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই আসন সমঝোতা করে চাঁচল ও সাউথ মালদহ কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে রুখতে পারলেও অধরা থেকে গেল সামসি কলেজ। এই কলেজে ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পেয়েছে ১১টি আসন।

এ দিন সন্ধায় ফল ঘোষণার পর সামসি কলেজের সামনের রাস্তায় বিজয় উৎসবে মাতে টিএমসিপি’র সমর্থকরা। অভিযোগ, সে সময় তাদের সরাতে গেলে পুলিশের একাংশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এর পরেই কলেজের গেটের সামনে সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। তাতে মালদহ-চাঁচল রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ অবশ্য আধ ঘন্টার মধ্যেই অবরোধ তুলে দেয়। চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ হয়েছিল। পরে তুলে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’’

টিএমসিপিকে রুখতে মালদহের তিনটি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতা করেছিল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই। শনিবার চাঁচল কলেজ, সাউথ মালদহ কলেজ এবং সামসি কলেজে ছাত্র সংসদের ভোট হয়। আসন সমঝোতা করে সাউথ মালদহ কলেজে টিএমসিপিকে কোনও আসনই দখল করতে দেয়নি তাঁরা। ১৮ আসনের সব ক’টি আসনেই তাঁরা জিতেছে। একইভাবে চাঁচল কলেজের ২৮ টি আসনের মধ্যে ২৫টি তারা পায়। ৩ টিতে টিএমসিপি জয়ী হয়। কিন্তু সেই সমঝোতা কাজে আসেনি সামসি কলেজে। এখানে ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১১টি আসন।

এ দিকে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগডোগরা কলেজ চত্বর। অভিযোগ, এসএফআই সমর্থক কয়েকজন পড়ুয়া মনোনয়ন তুলতে গেলে টিএমসিপির সদস্যরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেয়। ছাত্র পরিষদের এক ছাত্রীও মনোনয়ন তুলতে গিয়ে টিএমসিপি’র ছাত্রীদের বাধার মুখে পড়ে। তাকে মারধর করা হয়।

বিরোধী এসএফআই, ছাত্র পরিষদ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, পুলিশ থাকলেও কলেজে ঢোকার মুখে জড়ো হয়েছিল টিএমসিপি’র সদস্য সমর্থক এবং বহিরাগতরা। পুলিশ টিএমসিপি কর্মী সমর্থক এবং তাদের মদতপুষ্ট বহিরাগতদের না সরিয়ে উল্টে বিরোধীদের হঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

বেলা ১২টা থেকে দু’ঘণ্টা ছিল মনোনয়ন পত্র তোলার সময়। পৌনে দুটো নাগাদ অধিকাংশ মনোনয়ন তোলা হয়নি দেখে ছাত্র পরিষদ জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করে। পুলিশ গিয়ে তাদের তুলে দেয়।

SFI CP TMCP ABVP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy