জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) অফিসে চড়াও হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক নেতা দিব্যেন্দু সমাজদার কেন অধরা, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পছন্দের পোস্টিং দিতে হবে দাবি করে ওই শিক্ষক নেতা কর্মীদের আটকে রেখে ডিআইকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ফলে ডিপিএসসিতে বেশ কিছু সময় ধরে সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ ডাকতে হয়। ওই রাতেই ডিআই সুনীতি সাঁপুই ওই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সরকারি কাজে বাধা এবং ধাক্কাধাক্কির মতো জামিন অযোগ্য ধারায় পুলিশ দিব্যেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। কিন্তু ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।’’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে বলে শিক্ষক নেতা দিব্যেন্দুবাবু দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘দলেরই স্বার্থে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের হয়ে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে এখন মিথ্যা অভিযোগ
করা হচ্ছে।’’
অভিযুক্ত শিক্ষক নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছের লোক হওয়ায় বিপ্লব মিত্র অনুগামী নেতারা তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন বলে শঙ্কর ঘনিষ্ঠ নেতাদের একাংশের অভিযোগ। অবশ্য অভিযুক্ত দিব্যেন্দুবাবুর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে শঙ্করবাবু আগেই জানিয়েছেন। এ দিন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘এখানে গোষ্ঠীর কোনও বিষয় নেই। দলের যে স্তরের নেতাই হোন, তিনি অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কোনও বাধা নেই।’’
দল সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে বালুরঘাটের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে তোলা আদায়েরও অভিযোগ আছে। অভিযুক্ত শিক্ষক নেতা শীঘ্রই ম্যারাথন পুলিশি জেরার মুখে পড়তে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy