Advertisement
E-Paper

ক্ষোভ বাড়ছে পাটছড়া জুড়ে

প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী সুভাষ রায়কে পিটিয়ে মারার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। মারা গিয়েছেন তাঁর মা পবিত্রদেবীও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০২:৫৮
একজোট: মৃতদের পরিজনদের পাশে বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

একজোট: মৃতদের পরিজনদের পাশে বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী সুভাষ রায়কে পিটিয়ে মারার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। মারা গিয়েছেন তাঁর মা পবিত্রদেবীও। তারপরেও কেন তৃণমূলের জেলা পর্যায়ের কোনও নেতা ওই বাড়িতে যাচ্ছেন না তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে পাটছড়ায়।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়িতে যান কোচবিহারের সাংসদ তথা দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়। সকালেই ওই গ্রামের বাসিন্দারা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি দিতে চলে যান। তাই সাংসদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পাটছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীশঙ্কর রায়কে আড়াল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে কি না সেটা স্পষ্ট করা হোক। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

সাংসদ পার্থবাবু অবশ্য এ দিন নিহত সুভাষবাবুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সাংসদ বলেন, “এই মৃত্যু কখনই প্রত্যাশিত নয়। তা নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক। সুভাষবাবুর পরিবারের পাশে আমরা সব সময় থাকব।”

কেন জেলার নেতারা এখনও ওই এলাকায় যাননি তা নিয়ে পার্থবাবু কিছু বলতে চাননি। পার্থবাবুর সঙ্গে যান তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি খোকন মিয়াঁ। বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, ওই এলাকার বিধায়ক মিহির গোস্বামী এখনও সুভাষবাবুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি।

মিহিরবাবু অবশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিধানসভায় আছি। ফিরে ওই বাড়িতে যাব।” কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, বিধানসভা থাকায় তিনি কলকাতায় আছেন। তাঁর নির্দেশেই সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় এ দিন ওই বাড়িতে ওই যান। রবীন্দ্রনাথবাবুও বলেন, “অপরাধীরা ছাড় পাবে না।”

Patchara TMC Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy