E-Paper

‘মেলে না’ ডাক্তার, দুর্ভোগে নাগরিক

বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পাটেশ্বরী কমিউনিটি হলের সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন দীপক মণ্ডল।

সৌমিত্র কুন্ডু

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৪
চিকিৎসকে অপেক্ষার রোগী।

চিকিৎসকে অপেক্ষার রোগী। নিজস্ব চিত্র।

কোথাও বেলা ২টোর পরে চিকিৎসক ‘মেলে না’। কোথাও সপ্তাহে মাত্র তিন দিন চিকিৎসক থাকেন। অভিযোগ, শিলিগুড়ি পুরসভার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিস্থিতি এমনই। পুরসভার অন্দরের খবর, চিকিৎসকের ‘অভাবে’ বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ ভাবেই চলছে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজ। তবে পুর-কর্তৃপক্ষের আশা, বছরখানেকের মধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যাবে।

বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পাটেশ্বরী কমিউনিটি হলের সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন দীপক মণ্ডল। জ্বরে আক্রান্ত ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছে দেখেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বন্ধ। পরে অন্য জায়গায় চিকিৎসক দেখাতে যান। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকান্তনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পাটেশ্বরী স্কুল লাগোয়া সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন এক জন চিকিৎসক। সপ্তাহে তিন দিন করে তিনি এক-একটি কেন্দ্রে বসেন।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শহরে ১৩টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। পুরনো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে ১০টি। এ ছাড়া, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাতৃসদন এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীনিবাস সেবা সদনের মাধ্যমে শিলিগুড়ি
পুর-কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকেন।

কিন্তু সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির একাংশে সপ্তাহের সব দিন চিকিৎসক মেলে না বলে অভিযোগ। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘চিকিৎসকের খামতি কিছু রয়েছে। অনেক চিকিৎসক অন্যত্র ভাল সুযোগ পেয়ে মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেন। ফের নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করা হচ্ছে। তবে সমস্ত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিতেই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যাতে চিকিৎসক থাকেন, তা দেখা হচ্ছে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি পরিস্থিতির সময় ওই চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির মাধ্যমে পরিষেবা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ, সেখানে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সব সময় না থাকলে সমস্যা হয়।

পুরসভায় সিপিএমের বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে তিন বছর ধরে একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। এখনও চালু হল না। অন্যগুলিতে অধিকাংশ দিন চিকিৎসক থাকেন না।’’

পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০২৩-২০২৪ সালে নয়টি এবং ২০২৪-২০২৫ সালে ১৮টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনুমোদন হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩টি চালু হয়েছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। আরও নতুন বেশ কিছু অনুমোদনের অপেক্ষায়। পুরসভার অধীনে থাকা মাতৃসদনে আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা শীঘ্রই চালু হতে চলেছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে সমস্ত কিছু করা হচ্ছে।

পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন বলেন, ‘‘সবই হচ্ছে বলা হচ্ছে। অথচ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। সকলেই পরিষেবার বেহাল পরিস্থিতি টের পাচ্ছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri siliguri municipality

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy