অপেক্ষা: কোচবিহার হাসপাতালে রোগীরা। শনিবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
বসবার ঘর খোলা। কর্মীরাও আছেন। কিন্তু একাধিক বিভাগের নির্দিষ্ট ঘরে চিকিৎসকের দেখা নেই। তাই রোগীদের কাউকে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হল। কাউকে আবার আরও একটু বেশি সময়। শনিবার কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্হিবিভাগ খোলার নির্দিষ্ট সময়ের পরেও রোগীদের একাংশকে এমন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ নিয়ে সরব হন হাসপাতাল চত্বরে হাজির রোগী ও তাঁদের পরিজনদের অনেকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, বর্হিবিভাগের পরিষেবা পুরো স্বাভাবিক ছিল। কেউ কোনও অভিযোগও জানাননি।
রোগীর পরিজনেরা যা শুনে অনেকেই বলছেন, একটু খোঁজখবর করলেই কর্তৃপক্ষ কোন বিভাগে কখন কোন চিকিৎসক বসেছেন তা জানতে পারবেন। তাছাড়া যেখানে ডাক্তার দেখানো যাবে কিনা সেটা নিয়েই ভাবনা, সেখানে কর্তৃপক্ষের কাছে কেউ বা আর জানাতে যাবেন। তবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগ খোলা থাকার কথা। অভিযোগ, একাধিক ইউনিটে চিকিৎসকের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের পরেও অপেক্ষা করতে হয়। তুফানগঞ্জের সোবান আলি সার্জেনের বসার ঘরের সামনে মেয়েকে দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সোবানের দাবি, “ মেয়েকে সার্জেন দেখাতে এসেছি। তাই অপেক্ষা করেছি ঘণ্টাখানেকেরও বেশি।” পিলখানার বাসিন্দা এক বৃদ্ধা রেণু সাহা বলেন, “চোখ দেখাতে এসে আধঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করেছি।” তবে ফালাকাটার আনোয়ারা বিবি অবশ্য বলেন, “তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে এসে দেরি করতে হয়নি। শিশু ও স্ত্রী রোগ বিভাগের দুই ডাক্তারই দেখিয়েছি।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সকাল থেকে বহির্বিভাগে রোগীদের আনাগোনা শুরু হয়। অনেকেই নতুন টিকিট কাটেন। অনেকে আবার পুরনো টিকিট নিয়েও আসেন। রোগীদের সবাই পরিষেবা পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালের সহকারী সুপার দিব্যেন্দু দাস বলেন, “পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। কোনও অভিযোগের কথা জানা নেই। কেউ কিছু জানানওনি।” হাসপাতাল কর্মীদের একাংশের অবশ্য দাবি, বিভিন্ন বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে। তাই অন্তর্বিভাগ, জরুরি বিভাগ সামলে অনেক চিকিৎসককেই বর্হিবিভাগ সামলাতে হয়। বিশেষ জরুরি পরিস্থিতিতে তাই সামান্য দেরি হয়ে থাকতে পারে। তবে যখনই বর্হিবিভাগে ডাক্তারবাবু বসুন না কেন লাইনে থাকা রোগীকে দেখা হয়। তাতে বর্হিবিভাগের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তা মানা হয়না। সেই বিষয়টিও সবাইকে বুঝতে হবে।
আইএমএ-র তরফে এ দিন কর্মবিরতির কর্মসূচি ছিল না। সংগঠনের কোচবিহারের কার্যনির্বাহী সম্পাদক শিখা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কালো ব্যাজ পরেই সবাই কাজ করবেন। রোগীদের যাতে কষ্ট না হয় সেটা আমরাও মাথায় রাখছি।” বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ চিকিৎসকদের গণইস্তফা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “আমরাও ওই নিয়ে তৈরি আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy