Advertisement
০৬ মে ২০২৪
সেই ট্র্যাডিশনই কোচবিহারে

খেয়ে খাইয়ে তৃপ্তির ঢেকুর ভোটে

সকালে পুরি-তরকারি তো দুপুরে ভরপেট মাংস ভাত। কোথাও কোথাও আবার বিরিয়ানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে দেখা গিয়েছে কর্মী সমর্থকদের। এ ছবি অবশ্যই শাসকদলের শিবিরের। তবে পিছিয়ে ছিল না বিরোধীরাও।

ভোট সেরেই নোটের লাইনে। — হিমাংশুরঞ্জন দেব।

ভোট সেরেই নোটের লাইনে। — হিমাংশুরঞ্জন দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২৭
Share: Save:

সকালে পুরি-তরকারি তো দুপুরে ভরপেট মাংস ভাত। কোথাও কোথাও আবার বিরিয়ানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে দেখা গিয়েছে কর্মী সমর্থকদের। এ ছবি অবশ্যই শাসকদলের শিবিরের। তবে পিছিয়ে ছিল না বিরোধীরাও। জানা গিয়েছে শহর এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি কর্মীরাও পুরি তরকারি মিষ্টি দিয়ে সেরেছেন প্রাতরাশ। দুপুরে ভাতপাতে মাংস। আর বামেরা চা বিস্কুট, পুরি মিষ্টি দিয়ে দিন শুরু করলেও পরে অবশ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়েই গিয়েছেন। আর দৌড়ে অংশই নেয়নি কংগ্রেস। জানা গিয়েছে তাঁরা শুধু কর্মীদের তেষ্টা মেটানোর জন্য জলের ব্যবস্থা রেখেছিল।

ভোটের দিন দলের খরচে কর্মীরা খাবেন এটাই দস্তুর। খুচরোর আকালেও সেই রীতি বজায় থাকল কোচবিহারে।

কোথাও কোথাও বুথ ফেরত ভোটারদেরও ডেকে নেওয়া হয় ভোজের আয়োজনে। বিরোধীদের অভিযোগ ভোট টানতেই এমন ছক শাসকদলের। সে যাই হোক ডাক পেয়ে খুশি মনেই অনেকে পাত পেড়ে বসে পড়লেন। এক ভোটার বললেন, “ভোট দেওয়া হল, খাওয়াদাওয়ায় হল। বেশ ভালই কাটল। বাড়িতে আর খেতে হবে না।” শাসক দলের এক কর্মীর কথায়, “আজ তো বাড়ি ফেরার সময় নেই। তাই খাবারের আয়োজন থাকায় ভালই হয়েছে।”

কেউই অবশ্য মুখে খাবারের আয়োজনের কথা স্বীকার করেননি। তৃণমুলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “হাতে টাকাই নেই। খাবারের আয়োজন কি হবে! ব্যক্তিগত ভাবে কেউ টিফিন করে থাকলে তা নিয়ে কী বলার আছে।” বাম বা বিজেপি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা শাসক দলের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। ফলে খাবার আয়োজন করার ব্যাপার নেই। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “যে ভাবে আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ হয়েছে তা বলার ভাষা নেই। এর মধ্যে আমরা কেউই ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করতে পারিনি।”

দলীয় সূত্রের খবর, খুচরো টাকার অভাবে দলের নেতারা একটু চাপে ছিলেন। শহর এলাকায় অনেকেই হোটেলে চুক্তি করে নেন। সে জন্য তৈরি করা হয় স্লিপ। ওই স্লিপ নিয়ে শাসক দলের কর্মীদের ভবানীগঞ্জবাজার লাগোয়া এলাকা ও পাওয়ার হাউস চৌপথী এলাকায় বেশ কয়েকটি হোটেলে ভিড় করতে দেখা যায়। রেলগুমটি সহ বেশ কয়েক জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে বিরিয়ানির প্যাকেট দেখা যায়। এক দোকানি জানান, তাঁরা বেশ কিছু বরাত পেয়েছিলেন।

গ্রামের দিকে অবশ্য দলীয় কর্মীর বাড়িতেই আয়োজন করা হয়। তৃণমূলের কোচবিহার ১ ব্লকের সভাপতি খোকন মিয়াঁকেও বড় নলধদরা এলাকায় পাত পেড়ে খেতে দেখা যায়। তিনি বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা ডাল ভাতের আয়োজন করে। সেখানে দুপুরে একটু খেয়েছি। দলের কোনও ব্যাপার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

by-election Cooch behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE