ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে এ বার বাজার বন্ধ রাখা হল। সোমবার শিলিগুড়ি ফুলেশ্বরী আনাজের বাজারে বন্ধ পালন করেন বাজার সমিতির লোকেরা। ব্যবসায়ীদের একাংশই জানান, তৃণমূল মনোভাবাপন্ন ব্যবসায়ীরাই এই দাবিকে সামনে রেখে বাজার বন্ধ করেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার গোলমাল নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের দখলে থাকা ওয়ার্ড কমিটির কর্মকর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, এ ভাবে বাজার বন্ধের পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই ইন্ধন দিচ্ছেন। পুলিশ জানিয়ে, অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত শনিবার ওই বাজারের ফল বিক্রেতা নৃপেন মালাকারের সঙ্গে দাম নিয়ে বচসা বাধে স্থানীয় বাসিন্দা সদাব্রত করের। অভিযোগ, সদাব্রতের ছেলে রানা এসে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করে। রবিবার নৃপেন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাঁকে নিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ মিছিল করে। রানার বাড়ির সামনে গিয়ে গ্রেফতারের দাবিও তোলা হয়। তাঁর নাম গালিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকার কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষ। রানা তাঁর ওয়ার্ড কমিটির অফিসেই কাজ করেন। শনিবার মারধরের ঘটনার সময় শঙ্করবাবুও কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পিছনে কতটা রাজনীতি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের দল নিয়ন্ত্রণ করে না।’’ শঙ্করবাবু আবার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘অকারণে আমাকে এর সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
এ দিন বাজার বন্ধের জেরে বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। অনেককেই ব্যাগ হাতে শহরের অন্য বাজারে ছুটতে হয়েছে। ফুলেশ্বরী আনাজ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সঞ্জয় পাল, সাধারণ সম্পাদক নান্টু শীলরা বলেন, ‘‘ঘটনার পর দু’দিন পেরিয়ে গেল, অথচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল না। তাই এ দিন বন্ধ করা হয়।’’