—প্রতীকী চিত্র।
সকাল থেকেই দোকানে দোকানে ভিড় জমল। দুপুর গড়াতে ভিড়ে ঠাসাঠাসি কুমোরটুলিও। সরস্বতী পুজোর বাজারে কচিকাঁচাদেরই ভিড় বেশি। সঙ্গে অবশ্য এক-দু’জন অভিভাবকেরও দেখা মিলেছে। বাজার শেষে কেউ বলছেন, ‘‘জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া।’’ কেউ বলছেন, ‘‘প্ৰতিমা কিনতে অনেক বেশি লাগল। এ বার বাজারে পকেটে টান পড়বে।’’ আজ, বুধবার সরস্বতী পুজো। তার আগের দিন, মঙ্গলবার এমনই চিত্র কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ারে।
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রতিমা কিনতে হাজির হন কয়েক জন শিক্ষক। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘নানা দামের প্রতিমা রয়েছে। যেগুলো পছন্দ হচ্ছে, তার দাম একটু বেশি। আমরা শেষ পর্যন্ত বেশি দামেরই একটি প্রতিমা নিয়েছি।’’ আবার বলরামপুর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা মিলেই হাজির হয়েছিলেন বাজারে। এ বারে ওই স্কুলে ‘থিম পুজো’র আয়োজন করা হয়েছে। স্কুলে পড়াশোনার জন্য যে সমস্ত জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়, তা ‘থিম’-এ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিপ্লব মোহন্ত জানান, তাঁদের এ বার প্রতিমা তৈরিতে খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকার উপরে। তিনি বলেন, ‘‘আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে আমাদের স্কুলে। পুজোর দিনেই খিচুড়ি প্রসাদ দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। খরচও হয় প্রচুর। এ বার তো সব জিনিসের দামই আকাশছোঁয়া।’’
সরস্বতী পুজোর বাজারে দাম একটু বেশি থাকে বলেই জানান ব্যবসায়ীরা। তবে তাঁদের দাবি, দাম যে খুব বেড়েছে, তা নয়। প্ৰত্যেক বছর সরস্বতী পুজোয় এমন দাম বাড়ে। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সূরজ ঘোষ বলেন, ‘‘চাহিদা বাড়লে, জিনিসের দাম কিছুটা বাড়ে। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত হয়নি। বাজারে ভিড় রয়েছে। সকাল থেকেই ছোটরা আসছে। তাতে আমরা খুশি।’’
মেয়ের হাতেখড়ি বলে কথা। পুরোহিতও চলে আসবেন সকাল সকাল। ফলে, মঙ্গলবারই সরস্বতী পুজোর বাজার করতে বেরিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার শহরের স্বপ্না সরকার। বাজারে গিয়ে হতবাক তিনি।
তাঁর কথায়, “ফলের এমন চড়া ছিল, সব ফল নিতেই পারলাম না।” যদিও আলিপুরদুয়ারের ফল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, সরস্বতী পুজো ঘিরে নতুন করে ফলের দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোনও কোনও ফলের ক্ষেত্রে সোমবারও আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি যে দাম ছিল, তা এ দিন কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy