মার্চ মাস পড়লেও সে ভাবে পর্যটকের দেখা নেই দার্জিলিং পাহাড়ে। ম্যাল চৌরাস্তা থেকে কালিম্পঙের লাভা, লোলেগাঁও বা ডেলোর বাংলো, ভিড় নেই কোথাও। বেশির ভাগ হোটেলই প্রায় ফাঁকা। তাই আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফর ও শিল্প সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে ‘কুইন অব হিলস’। দু’দিনের সম্মেলন শেষে দেশের প্রথম সারির হোটেল, রিসর্ট সংস্থাগলি যদি দার্জিলিঙে বিনিয়োগের ইচ্ছে প্রকাশ করে, তা হলেই পর্যটকদের ভয়ভীতি আরও কমবে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
দার্জিলিঙের ঐতিহ্যপ্রাচীন একটি হোটেলের কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ড মনে করেন, শিল্প সম্মেলনে যে সব ঘোষণা হবে তা কার্যকর করাতে পর্যাপ্ত সময় দরকার। কিন্তু, ওই সব ঘোষণায় এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে দার্জিলিংয়ে নির্বিঘ্নে ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে বলেই মনে করছে বণিক মহল। অজয়ের মতে, ‘‘কত টাকা লগ্নির ঘোষণা হবে সেটা বড় ব্যাপার নয়। দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিদের একাংশ দার্জিলিঙের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন এটাই বিরাট ব্যাপার।’’
১৩ মার্চ দার্জিলিঙের ম্যাল চৌরাস্তায় শিল্প সম্মেলনের সূচনা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপরে রাজভবন লাগোয়া একটি হোটেলে শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে কয়েক প্রস্থ বৈঠক হবে। সেখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্র ঠিক হতে পারে। পরদিন, ১৪ অগস্ট ম্যালের মঞ্চেই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কোন শিল্প সংস্থা কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তা ঘোষণা হতে পারে। ইতিমধ্যেই জিটিএ-এর কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গ একাধিকবার কলকাতায় গিয়ে নানা স্তরে বৈঠক করেছেন। সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান রাজীবলোচন বলেন, ‘‘ওই শিল্প সম্মেলনের আমরাও অংশীদার। একে সফল করতে সব রকম চেষ্টা চলছে। যাতে দার্জিলিং পাহাড়ে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ে। তা হলেই পাহাড়ের চা-পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে।’’