ঢাকার গুলশন এলাকার রেস্তোরাঁটি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে মহল্লাপাড়াতে আমার আত্মীয়া লীনা আচার্যের বাড়ি। তাঁর বাড়ি গেলে ওই রেস্তোরাঁটিতেও যেতাম। গত বছরই ওই আত্মীয়ার বাড়ি থেকে হেঁটেই ওখানে খেতে গিয়েছিলাম। শুধু আমরা নয়, যাঁরাই লীনাদির বাড়ি গিয়েছেন, তাঁদেরই তিনি ওই রেস্তোরাঁতে নিয়ে গিয়েছেন। সেখানে আইসক্রিম, ফ্রুট ড্রিঙ্কস, ইতালিয়ান চিকেন কারি, পরোটা সহ নানা ধরনের স্ন্যাকস খেয়েছি আমরা। লীনাদিও নিয়মিত ওই রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন। শুক্রবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে রাত ১২টা নাগাদ আচমকা টিভিতে ওই রেস্তোরাঁতেই সন্ত্রাসবাদীদের হামলার ঘটনার খবর জানতে পেরে আমি ও আমার স্ত্রী আঁতকে উঠি। প্রথমেই মনে হল, লীনাদি ওই রেস্তোরাঁয় গিয়ে আটকে পড়েননি তো? কিন্তু লীনাদি মোবাইল ব্যবহার করেন না। এক আত্মীয়কে ফোন করার চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁকে তখন পাইনি। রাতভর উদ্বেগে কেটেছে। সকাল ৮টা নাগাদ ওই আত্মীয় খবর দিলেন, লীনাদি অসুস্থ বলে গত এক সপ্তাহ ধরে ময়মনসিংহের বাড়িতে রয়েছেন। ঢাকায় শান্তি ফিরলে তিনি ফিরবেন।